নাফ নদীর পাশেই কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দর, বন্দরে নেই পণ্যবোঝাই কার্গো ট্রলার বা জাহাজ। ফাঁকা পড়ে আছে বন্দরের জেটি। কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন শ্রমিকরা। স্বাভাবিক সময়ের মতো বন্দরের প্রধান ফটকে ট্রাক কিংবা কাভার্ডভ্যানের জটলা নেই।
সবশেষ গত ১৩ নভেম্বর মিয়ানমারের আকিয়াব বন্দর থেকে ৪৭ টনের একটি হিমায়িত মাছের চালান টেকনাফে আসে। হঠাৎ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মিয়ানমারে বেশকিছু পণ্য আটকা পড়েছে। এসব পণ্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আনতে না পারলে লোকসানের মুখে পড়ার শঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মোহাম্মদ সোহেল বলেন, মিয়ানমারে অস্থিরতার কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যে কারণে স্থানীয় ব্যবসায় প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এছাড়া বন্দরের শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছেন।
শ্রমিকরা বলেন, বন্দরে কোনো কাজ নেই। বাড়িতে আমাদের অলস সময় কাটাতে হচ্ছে।
আমদানিকারক সামির কায়সার বলেন, আমাদের অনেক টাকার পণ্য মিয়ানমারে আটকে আছে। এসব পণ্য দ্রুত না আসায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বন্দরকে কেন্দ্র করে টেকনাফ-কক্সবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা অর্ধশতাধিক দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। টানা ৯ দিন ধরে ব্যবসা করতে পারছেন না এসব দোকানিরা।
টেকনাফ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, নিরাপত্তার কারণে বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে সমস্যা হচ্ছে। তবে খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তিনি জানান।
টেকনাফ স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে ৩ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।




