মুদ্রাবাজার
অর্থনীতি
0

বছর ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে ৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার

বছর ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে ৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলার। গত বছর ১৪ মার্চ থেকে চলতি বছর ১৪ মার্চ পর্যন্ত এক বছরের রিজার্ভের হিসেবে এই তথ্য উঠে এসেছে। বুধবার (৮ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্যে এটি জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১৪ মার্চে রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ২৯ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ১২৯ কোটি ডলার। আর চলতি বছরের ১৪ মার্চ পর্যন্ত রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ১৮ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৫১৮ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমেছে ৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ৬১১ কোটি ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের শুরুতে গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (বিপিএম-৬) হিসাব পদ্ধতি অনুযায়ী তা দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এর পর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর ফলে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ কমে গত নভেম্বর শেষে ১৯.৩০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়ায়। এর পর আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১.৮৬ বিলিয়ন ডলার হয়েছিল, তবে চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯.৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। মার্চের শেষ তিন সপ্তাহ ধরে রিজার্ভের নিম্নগতি দেখা দেয়।

গত ২০ মার্চ বিপিএম-৬ অনুযায়ী, রিজার্ভ ছিল ১৯.৯৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৮ কোটি ডলার। গত ৬ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে গ্রস রিজার্ভ কমে ১.০৯ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী কমে ১.১৬ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ হালনাগাদ তথ্যে বিপিএম–৬ অনুযায়ী, ২ মে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৯৯৬ কোটি ডলারে। এর আগে গত ২৯ এপ্রিল রিজার্ভ ছিল ২০.২৪ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার কোটি ডলার।