ডলারের পর ব্যাংকে নগদ টাকারও সংকট। তার সাথে যোগ রয়েছে খেলাপি ঋণে জর্জরিত ব্যাংকের ধারদেনা করে টিকে থাকা। কলমানির সুদের হার বাড়লেও ব্যাংকগুলোর ঘাটতি যেনে পূরণ হবার নয়। এছাড়া, খেলাপি ঋণের বাইরে যেসব অর্থসংক্রান্ত মামলা আদালতে আছে; সেটিও গত সেপ্টেম্বরে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১২ হাজার ১৫৭ কোটি টাকায়। মামলার সংখ্যা ২ লাখ ৪ হাজার ২৯৬টি।
এমন পরিস্থিতিতে দুর্বল ব্যাংকগুলো দিনে দিনে যেনো মুমূর্ষু অবস্থা থেকে নিজেদের সক্ষমতায় ফেরা কঠিন হয়ে পড়ছে। ব্যাংক ক্যাটাগরিতে দুর্বল তালিকায় থাকা ব্যাংকগুলোতে সংস্কার আনতে এবার শক্তিশালী ব্যাংকগুলোর সাথে একীভূত করার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার বার্তা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় ব্যাংকের সংস্কার কার্যক্রমে কোন রাজনৈতিক প্রভাবই কাজে আসবে না বলে জানান গভর্নর।
বুধবার বিকেলে আলোচনায় ব্যাংকে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে মুদ্রানীতিতে নেয়া পদক্ষেপের কথা জানানো হয়। সেখানে ব্যাংকে সংকটের আগাম ও দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে পিসিএ-ফ্রেমওয়ার্ক ২৫ মার্চ চালুর সময় নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন ফ্রেমওয়ার্ক সব ব্যাংকের জন্য কার্যকর থাকবে। তাতেও দুর্বল ব্যাংকের অবস্থার বদল না হলে নতুন ডিপোজিট, শাখা খোলা, ঋণ দেয়া, ডিভিডেন্ট দেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া অর্থনীতি আদালতে যেসব খেলাপি ঋণের মামলা আছে সেগুলো সমাধানে লিগ্যাল টিম শক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এবিবি সভাপতি সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, 'ক্রলিং পেগে যে নতুন পদ্ধতি চালু হবার কথা, তা হয়তো মার্চ থেকে চালু হবে। তাতে আবারও ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ মার্কেটে স্থিতিশীলতা আসবে।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র জানান, মুদ্রানীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। বাণিজ্যিক অর্থপাচার কমেছে। তারল্য সংকট সমাধানে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয়ার কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।
বিভিন্নখাতের পণ্য রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা বা ভর্তুকি কমায় ব্যাংক খাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপকরা।