গভর্নর বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করিনি।'
ব্যাংকের যে জমা খরচের হিসেবে বড় বড় প্রতিষ্ঠান ঋণ পান, প্রবৃদ্ধি ডানা মেলে, টিকে থাকে আর্থিক খাত তার সিংহভাগ আসে ক্ষুদ্র আমানতকারীদের কল্যাণে। ব্যাংক দেউলিয়া হলে সেই ক্ষুদ্র সঞ্চয়কারীদের জন্য থাকা ইন্স্যুরেন্সে দ্বীর্ঘদিন ১ লাখ টাকা পাবার নিশ্চয়তা ছিলে। আর্থিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার সেই নিরাপত্তা স্কিম ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তাতে প্রায় ৯৫ শতাংশ আমানতকারী পুরো টাকা পাবেন।
আজ (রোববার, ৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানান গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ব্যাংক টাকা না দিতে পারলে সরকার এই টাকা দিবে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিরাপত্তা স্কিম ২ লাখ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এটার মাধ্যমে ৯৪.৬ শতাংশ আক্যাউন্ট হোল্ডার টাকা ফেরত পাবে। ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান তারা তাদের ১০০ শতাংশ ডিপোজিট ফেরত পাবে। অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়েছে কিন্তু আমরা কাস্টমারের স্বার্থ রক্ষা করবো।'
কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করেনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ফলে যেকোন কারখানা বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের হিসাব নিকাশ স্বাভাবিক ভাবে চলবে বলেও শ্রমিক কর্মচারীদের নিশ্চিত করেন গভর্নর।
তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক একাউন্ট ফ্রিজ করিনি। সেটা যারই মালিকানা হোক না কেন তাদের কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়নি। প্রতিষ্ঠান চলবে। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারিরা কাজ করবে। উৎপাদন কমবে না।'
১০ টি ব্যাংক এখন প্রায় দেউলিয়া, যাদের ফেরানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া ৭০ হাজার কোটি টাকা ব্যাংক খাতের বাইরে চল গেছে তার মধ্যে ৩০ হাজার কোটি টাকা ফেরত এসছে ব্যাংক খাতে। গভর্নর জানান, বিগত সময়ে নেয়া নীতিগুলো আবার পর্যালোচনা করা হবে, তবে পূর্বের সিদ্ধান্তের কারণে এক্সিম ব্যাংক বিশেষ ঋণ পেলেও আর কাউকে টাকা ছাপিয়ে সহায়তা করা হবে না বলেও পরিষ্কার করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এইগুলোর পলিসি রিভিউ করবো প্রত্যেক কেস বাই কেস।’
পুনর্গঠিত ব্যাংকগুলের প্রতিদিনের হিসাব নেয়া হচ্ছে। নজরদারি রাখছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এসএমই খাতে ঋণ হার বাড়ানোর প্রক্রিয়া আরও সহজ করতে জটিলতা কমানোর বিষয়ে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ গভর্নরের।