ব্যাংকপাড়া
অর্থনীতি
0

কৃষি ও পল্লী ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ৮.৫৭ শতাংশ বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

চাহিদা বিবেচনায় গত অর্থবছরের চেয়ে কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাণিজ্যিক ও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোকে এই অর্থ প্রকৃত কৃষকদের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছেন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। একইসঙ্গে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারলে জবাবদিহিতার আওতায় আনারও ঘোষণা গভর্নরের।

২০২৪-২৫ অর্থাৎ চলতি অর্থ বছরে গত অর্থ বছর থেকে ৮.৫৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকার কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর তা নিয়েই সরকারি বেসরকারি ব্যাংক ব্যবস্থাপক ও পরিচালকদের সাথে বৈঠকে বসেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তবে কৃষিতে ঋণের প্রভাব বাড়াতে হলে অন্তত ৩০ শতাংশ বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যাংকাররা।

সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘কৃষির দিকে তাকিয়ে এই  আড়াই লাখ টাকা বাড়নো যায় কিনা। কারণ টাকার ভ্যালু তো আগের মতো না।’

গভর্নর জানান, জিডিপির হারে কৃষির অংশ কম হলেও দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে কৃষিকে গুরুত্ব দিতে হবে।

গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'আমাদের কৃষির উপর নির্ভরতা বাড়ছে কারণ মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। এর পাশাপাশি আমদানির পরিমাণও বাড়ছে কারণ উৎপাদনের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছে।'

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কর্মসংস্থান ছাড়াও আর্থিক কারণেই খাদ্যপণ্যে পুরোপুরি আমদানিতে যেতে পারবে না বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, ‘আমরা বলি খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ কিন্তু আমাদের পুষ্টির অভাব রয়েছে।’

প্রকৃত কৃষকরা যেন ঋণ পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে কোনো কৃষক যদি ঋণের অর্থ দিতে না পারেন সেক্ষেত্রে তা মওকুফের বিষয়েও ভেবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, ‘মানবিক বিবেচনা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কারণে তাদের ঋণ মওকুফের বিষয় ভেবে দেখা যেতে পারে।’

লক্ষ্যমাত্রা পূরণে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর বিতরণের লক্ষ্য সাড়ে বারো হাজার কোটি টাকা। আর বেসরকারি ও বিদেশি ব্যাংক বিতরণ করবে ২৫ হাজার ৩শ' কোটি। তবে যেসব ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে পারবে না তাদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মনে করিয়ে দিলেন গভর্নর।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর