বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংক-কোম্পানিতে শৃঙ্খলাবিরোধী কাজে সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যাংকের দপ্তরে বা কর্মস্থলে ব্যাংকের শেয়ার ধারক, বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তা বা কর্মচারী দ্বারা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কয়েকটি কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে গোচরীভূত হয়েছে।
উল্লেখ্য, ব্যাংকের মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তি কিংবা কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া পেশের সুনির্দিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এ ধরনের কার্যকলাপ ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও লেনদেনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বলে ব্যাংকের ওপর আমানতকারীদের আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ব্যাংকিং খাতে এরকম বিশৃঙ্খলা একান্তই অনভিপ্রেত। এর জন্য ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ব্যাংকের ওপর আমানতকারীদের আস্থা অক্ষুণ্ন রাখার নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা তরেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ব্যাংক-কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫৭(১) অনুযায়ী ব্যাংকের দপ্তরে বা কর্মস্থলে আমানতকারীদের আস্থা ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো কার্যকলাপ হতে বিরত থাকার নির্দেশনা রয়েছে। একইসঙ্গে এ ধরনের কার্যকলাপ উল্লিখিত আইনের ধারা ৫৭(২) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আইন ভঙ্গকারীকে দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে জানিয়ে ব্যাংক কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে সব মহলের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।