হিমিনোর মন্তব্য থেকে বোঝা যায়, বিওজে আগামী বৈঠকে সুদহার বাড়ানোর কথা বিবেচনা করছে। এদিকে একাধিক বিশ্লেষক আশা করছেন জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার চলতি বছরের জানুয়ারি বা মার্চে বাড়বে। তবে সম্ভাব্য সুদহার বাড়ানোর সময় সম্পর্কে জানতে চাইলে হিমিনো বিস্তারিত কিছু বলেন নি।
হিমিনো আরো বলেন, ‘বিওজে মজুরি বাড়ানো এবং মার্কিন অর্থনীতির নীতি সম্পর্কিত ঝুঁকিগুলোকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’ তিনি মনে করেন, মজুরি বাড়ানোসহ অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতির ওপর ভিত্তি করেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা বেশি।
হিমিনোর মন্তব্যের পর জাপানি ইয়েনের বিনিময় হার কিছুটা কমলেও পরে তা ঘুরে দাঁড়ায়। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা ইয়েন বিক্রি করে তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল, যার ফলে এটি সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল।
হিমিনো জানান, বিওজে কেবল তখনই সুদহার বাড়াবে যদি তার অর্থনৈতিক পূর্বাভাস বাস্তবায়িত হয়। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক সব আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেবে। এছাড়া চালের দাম বৃদ্ধি ও ইয়েনের দুর্বল বিনিময় হার বিবেচনা করে বিওজে মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাসও সংশোধন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।