ভোর থেকেই শত শত শ্রমিকের ব্যস্ত পদচারণায় মুখর হয়ে উঠে কুমিল্লা ইপিজেড। যন্ত্রের শব্দ যোগ করছে শিল্প আর রপ্তানির নতুন সব গল্প।
করোনা ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের ধাক্কা কাটিয়ে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে কুমিল্লা ইপিজেড। ৫০ হাজার শ্রমিকের প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত ইপিজেডে কাজ করছে ৬৬ শতাংশ নারী। প্রতিমাসে এখানকার শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বাবদ খরচ প্রায় ২৫০কোটি টাকা। যা চাঙা করছে স্থানীয় অর্থনীতিকেও।
শ্রমিকেরা জানান, তারা এখানে কাজ করে ভালো একটি অর্থ উপার্যন করতে পারছে। ফলে পরিবার নিয়ে তারা ভালোভাবে জীবন-যাপন করতে পারছে।
আরও পড়ুন:
এখানে তৈরি পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক্স, প্লাস্টিক ও ফ্যাশন অ্যাকসেসরিজসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয় যুক্তরাষ্ট্র, জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। আর বিনিয়োগে যুক্ত আছে অন্তত ১৫টি দেশ। এখন পর্যন্ত ৬১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ২৭০ জন বিদেশি কর্মকর্তা থাকেন এখানে ।
ইপিজেডের বিনিয়োগকারীরা জানান, ২০০৯ সাল থেকে তারা কাজ করছেন এখানে। লোকাল শ্রমিকদের নিয়েই তারা কাজ করছেন। প্রতিনিয়তই তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ছে বলে জানান বিনিয়োগকারীরা।
৪৬টি প্রতিষ্ঠান উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনা করছে ইপিজেডে। বাস্তবায়নাধীন রয়েছে আরও ৬টি প্রতিষ্ঠান। তবে সব প্লট বরাদ্দ হয়ে যাওয়ায় নতুন শিল্প স্থাপনের সুযোগ নেই। বিনিয়োগ খুব বেশি না বাড়লেও রপ্তানি ও কর্মসংস্থান বাড়বে বলে আশা করছেন বেপজার কর্মকর্তারা।
বেপজা নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মাহবুব বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেয়ার মতো কোনো খালি প্লট নেই। তবে যারা বর্তমানে কর্মরত আছেন তারা বিভিন্নভাবে বিনিয়োগকে সম্প্রসারণ করছেন।’
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাছেই জাতীয় অর্থনীতির শক্তিশালী স্তম্ভ হিসেবে জানান দিচ্ছে কুমিল্লা ইপিজেড। নতুন করে প্লট সম্প্রসারণ করা সম্ভব হলে বিদেশি বিনিয়োগের সম্ভাবনা যেমন বাড়বে তেমনি বাড়বে কর্মসংস্থান ও রপ্তানির সুযোগ।





