চট্টগ্রাম বন্দরে জেনারেল কার্গো বার্থের ছয়টি জেটিতে কনটেইনার জাহাজ ভিড়ে। বন্দরের নিযুক্ত বার্থ অপারেটররা জাহাজ থেকে কনটেইনার উঠানো ও নামানোর কাজটি করেন, এজন্য প্রতি কনটেইনারে অনবোর্ড সার্ভিস চার্জ ও শ্রমিকদের মজুরি বাবদ ৫৫৯ টাকা দেয় শিপিং এজেন্টরা।
বার্থ অপারেটরদের অভিযোগ, প্রতি বছর শ্রমিকদের মজুরি খরচের উপর ১০ শতাংশ করে বাড়লেও সেবা খাতে গত ১৮ বছরে বাড়েনি এক টাকাও। ২০০৭ সালে নির্ধারিত দরেই এখনো কাজ করে যাচ্ছেন তারা।
শিপিং এজেন্টদের অভিযোগ, বন্দরের সাথে আলোচনার মাধ্যমে চার্জ বাড়ানোর বিষয়টি চলমান থাকলেও জিসিবিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে ক্রেন প্রতি প্রয়োজন অনুযায়ী গ্যাং বা শ্রমিক দিচ্ছে না বার্থ অপারেটররা। কনটেইনার পরিবহনে ট্রেইলারও মিলছে না ঠিকঠাক। এই অবস্থা চললে সার্বিক আমদানি রপ্তানি বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এদিকে, শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান বলছেন, বার্থ অপারেটরদেরকে পার কনটেইনারে ৮ শতাংশ চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হলেও তারা ১১০ শতাংশ দাবি করছে যা যৌক্তিক নয়।
যদিও বার্থ অপারেটররা বলছেন, জাহাজের ডকুমেন্টেশন, কনটেইনারের ইমর্পোট - এক্সপোর্ট পারমিশনসহ নানাবিধ সেবা দিতে তাদের খাটাতে হয় অতিরিক্ত জনবল। তাছাড়া, ১৮ বছরে যন্ত্রপাতি কেনাসহ সবরকম ব্যয় বাড়লেও মাত্র ৫০ টাকা চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মত না।
এদিকে এ বিষয়ে সরাসরি কথা না বললেও বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিরোধ নিরসনে কমিটি কাজ করছে। দ্রুতই আসবে সমাধান।