প্রবাসীদের রেমিট্যান্সে সমৃদ্ধ হচ্ছে মেহেরপুরের অর্থনীতি

এখন জনপদে
অর্থনীতি
0

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা মেহেরপুর। গত এক দশক আগেও এ জেলার প্রধান অর্থনৈতিক উৎস ছিল কৃষি। তবে, সময়ের সাথে বদলে গেছে জেলার অর্থনীতি। এখানকার হাজারো যুবক হয়েছেন প্রবাসী। তাদের উপার্জিত অর্থে সমৃদ্ধ হচ্ছে মেহেরপুর।

গত কয়েক দশক ধরেই দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন প্রবাসীরা। গত ২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ৩শ ৯১ কোটি মার্কিন ডলার।

দেশের অন্যতম রেমিট্যান্স সমৃদ্ধ জেলা হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছে মেহেরপুর। দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রেখে চলেছে মেহেরপুরের প্রবাসীরা। হিসাব মতে, জেলার প্রায় ৭০ হাজার যুবক-যুবতী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত রয়েছেন। তাদের পরিশ্রমের উপার্জন আসছে বিভিন্ন ব্যাংক মাধ্যমে।

মেহেরপুর ইসলামী ব্যাংক পিএলসি অ্যাসিস্ট্যান্টে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান সেলিম রেজা বলেন, ‘আমরা গ্রাহকদের উদ্বুদ্ধ করি তাদের কষ্টার্জিত অর্থ যেন বাংলাদেশে বৈধ পথে আসে।’

মেহেরপুরের যারা প্রবাসে আছেন তাদের মধ্যে বেশিরভাগই মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন।

সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারলে প্রবাসের প্রতি মানুষের আগ্রহ আরো বাড়বে বলে মনে করছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশের অ্যাম্বাসিগুলো প্রবাসীদের কল্যাণে আরো সক্রিয় হবে বলে আশা তাদের।

মেহেরপুর টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘ একজন দক্ষ শ্রমিক ৫ জন অদক্ষ শ্রমিকের সমান বেতন পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের টিটিসিগুলো বিশেষ পদক্ষেপ নিচ্ছে এবং আমাদের এখানে বিভিন্ন ধরনের কোর্স চলছে। আর এই কোর্সগুলোর মাধ্যমে তারা দক্ষ হয়ে বিদেশ যেতে পারছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে, ২৩-২৪ অর্থবছরের মেহেরপুর জেলায় মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৭০ দশমিক ৮ মিলিয়ন ডলার। যা টাকার হিসেবে ৮শ ৫৭ কোটি ৯৫ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। এছাড়াও চলতি অর্থবছরের শুধু জুন থেকে ডিসেম্বর মাসেই মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার।

সোনালী ব্যাংক পিএলসি মেহেরপুর শাখা এজিএম ও শাখা প্রধান তৌহিদুল আলম বলেন, ‘এই জেলা থেকে যেসব ভাই-বোনেরা বিদেশে যেতে চায় সরকারের পক্ষ থেকে ৩ দিন, ৭ দিন এবং এর বেশিও ট্রেনিং দেয়া হয় টিটিসি দিয়ে থাকে। আমরা জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে মাঝেমধ্যে সেখানে সেখানে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়।’

দেশের বেকার যুবকদের দক্ষতা ভিত্তিক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠাতে পারলে এবং প্রবাসীদের বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উদ্বুদ্ধ করলে অল্প সময়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এএম