নীল-ধূসর আকাশ রেখে সবুজের মাঝে মহাপতঙ্গের অবতরণ। বিমানের উড্ডয়ন অবতরণে ব্যস্ততা বেড়েছে বিমান বন্দরটিতে। গেল অর্থ বছরেই প্রায় দশ হাজার যাত্রী পরিবহন করেছে উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলো। তাতে বিমানবন্দর ঘিরে প্রত্যাশা বাড়ছে যাত্রীদের।
এ রুটে আকাশ পথে চাহিদা বৃদ্ধিতে যাত্রী সেবার মান বাড়াতে চায় বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এর অংশ হিসেবে ৩ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে বিমানবন্দরের সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। যেখানে ঢেলে সাজানো হচ্ছে পুরো বিমানবন্দরকে।
বিমানবন্দর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে নির্মাণাধীন ৯৬০ ফিট টার্মাকের ইতোমধ্যে কাজ শেষ হয়েছে ৭৪৫ ফিটের। পাশাপাশি ২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হয়েছে বিমানবন্দরের ৬ হাজার ফিট রানওয়ের সোল্ডার বৃদ্ধি ও ওভার লেয়ার সংস্কারের কাজ। চীনের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান সিসি-ই-সিসি'র প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলছেন, আইকাউ'এর নিয়ম অনুসরণ ও উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারে কাজ চলছে।
পাঁচ বছর পর পর রানওয়ের ওভার লেয়ার সংস্কার করার নিয়ম থাকলেও ১৯৮৪ সালের পর সে নিয়ম রক্ষা হয়নি রাজশাহীতে। তাতে ত্রুটিপূর্ণ রানওয়েতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিমান পরিবহন প্রতিষ্ঠান গুলো। এর সংস্কার হলে, যাত্রীবাহী বড় বিমান চালানোর পরিকল্পনা করছে ইউ.এস বাংলাসহ অন্যান্য সংস্থাগুলো।
আর রানওয়ের চলমান সংস্কার কাজ সম্পন্ন হলে উড়োজাহাজ কোম্পানিগুলোর এ চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব বলছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা। টার্মিনাল সেবা ও রানওয়ের মান বাড়লে যশোর-কক্সবাজার রুটের মতো রাজশাহীতেও কার্গো সেবা চালুর সুযোগ বাড়বে।
অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা সুবিধা পেতে নতুন টার্মাকের পশ্চিমপ্রান্তে ২০২৫ সালেরই শুরু হবে আন্তর্জাতিক সুবিধা সম্পন্ন অত্যাধুনিক বিমানবন্দর। পরিকল্পনা অনুযায়ী, যার নিচতলা ১৭ হাজার বর্গফুট ও দ্বিতীয় তলা হবে ১১ হাজার বর্গফুটের।
যেখানে যাত্রীরা কনকার্সহল, ডিপারচার অ্যারাইভাল লাউঞ্জ, কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ পাবেন আন্তর্জাতিক মানের সকল সুবিধা। পরিকল্পিত আধুনিক রাজশাহীর হযরত শাহ মখুদম বিমানবন্দরের পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সময় লাগবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত।