অর্থনীতি
0

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের ওপর নির্ভর করছে শিল্প-বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা!

অর্থনীতি নয়, ব্যক্তিস্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে শূন্য করা হয়েছে ব্যাংকখাত। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চ্যালেঞ্জ ও করণীয় নিয়ে নাগরিক সভায় ব্যাংক ও শিল্পখাত মালিকরা বলছেন, এই সরকার কতদিন থাকবে তার ওপর শিল্প ও বাণিজ্যের স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে। সাথে আইনশৃঙ্খলা ফেরানো, সরকারি চাকরির বেতন কমিয়ে বৈষম্য কমানো, হেফাজতে থাকা ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ, আর্থিক দুর্নীতির বিচার ছাড়াও ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বিনিয়োগ ফেরানোর পরামর্শ এসেছে সিপিডির নাগরিক সভায়।

১৫ বছরে ব্যাংকিং সেক্টর যে চাপে ছিলে যা ধারণার বাইরে। অনেকটা আতঙ্কে কেটেছে, পুতুলের মতো ব্যবহার হয়েছে ব্যাংকের দায়িত্বশীল পদ। নাগরিক সভায় এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ বলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংস্কার এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সেলিম আর এফ বলেন, 'ব্যাংকিং সেক্টর সিচুয়েশন যতটা খারাপ ভাবছেন আপনারা, আসলে তার চেয়ে অনেক বেশি খারাপ। আমি কথা বলতে পারবো না, আমাকে বলবে আপনি সই করেন, আমি যা বলবো তাই, আমি ভালো বুঝি।'

ব্যাংকের পরিস্থিতি তুলে ধরে ব্যবসায়ীরাও জানান, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনায় পুনর্গঠন প্রয়োজন।

শিল্প ব্যবসায়ী উদ্যোক্তা আসাদুজ্জামান বলেন, 'আমি প্রশ্ন করবো যে এটা কী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার? নাকি এটা বিপ্লবী সরকার? আমার এটা জানতে হবে, যদিও সাংবিধানিক একটা ব্যাখ্যা আছে।'

দুর্নীতি জালিয়াতি আর ইন্টারনেট বন্ধ করে লাখ লাখ ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তার ক্ষতিও তদন্ত করার আহ্বান জানান বক্তারা।

স্থায়ী সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, 'দেশে সরকার হয়েছে, কিন্তু শাসন এখন প্রতিষ্ঠা হয়নি। সব জায়গায় শুধু পদত্যাগ হচ্ছে। কিন্তু একটা আশ্চর্যের বিষয়, কোনো সেক্রেটারি কিন্তু পদত্যাগ করেনি। সবকিছু বিবেচনা করে তদন্ত করা প্রয়োজন।'

উন্নয়নকর্মী ও অর্থনীতিবিদ বদিউল আলম মজুমদার বলেন, 'যারা হেফাজতে আছে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। এইসব ব্যক্তিকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। একই সাথে অর্থনৈতিক যে অপরাধ আছে, ব্যাংক লুট, পাচার করেছে তাদেরও বিচার হওয়া দরকার।'

বিগত সরকারের সময় একটি গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দিয়ে আয় বৈষম্য তৈরি করার অভিযোগ করে সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমিয়ে আনার দাবি তোলেন বক্তারা।

প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ফাহিম মাশরুর বলেন, 'আজ থেকে ২০ বছর আগে বলতাম তোমরা কতজন কী কাজ করতে চাও। ৮০ ভাগ বলতো আমরা এই কোম্পানির কাজ করবো, ওই কোম্পানির করবো। এখন ৯০ ভাগ বলে যে আমি সরকারি চাকরি করবো। সরকারি চাকরির বেতন কমাতে হবে। আমি তো ইচ্ছা করলেই বেসরকারি চাকরির বেতন বাড়াতে পারবো না।'

এছাড়া শিক্ষা স্বাস্থ্যের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতের দুর্নীতি ও রাজনীতিকীকরণ তদন্ত করার দাবি ওঠে নাগরিক সমাজ থেকে। একইসাথে কোন রাজনৈতিক দল যেন নিজের স্বার্থে রাষ্ট্রকাঠামো ব্যবহার করতে না পারে তার কৌশল তৈরি করতে অন্তবর্তীকালীন সরকারকে তাগিদ দেন তারা।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর