পরনে লাল সবুজ রঙের পোশাক, হাতে রজনীগন্ধা আর চোখে মুখে প্রত্যয়। জর্ডান যাত্রার জন্য প্রস্তুত দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৪৮ নারী কর্মী। প্রত্যেকই পরীক্ষার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়েই সঙ্গী হয়েছেন এই যাত্রার।
বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড এর অধীনে বিনা খরচে তাদের কাজের ব্যবস্থা করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। প্রত্যেকই যাচ্ছেন সুইং অপারেটর হিসেবে।
২১ হাজার ৬০০ টাকার মাসিক বেতন। সাথে দুই ঘণ্টা ওভারটাইম যুক্ত করলে সংখ্যাটি ৩০ হাজার ছাড়াবে। রয়েছে বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া আর মেডিক্যাল সুবিধা। বোয়েসেল দিচ্ছে বিমানের টিকিটও। এমন সুযোগ পেয়ে তাই উচ্ছ্বসিত বিদেশগামী মেয়েরা।
জর্ডানগামী এক নারী কর্মী বলেন, ‘বিনা খরচে যেতে পেরে আমরা খুশি।’
সেন্ড অফ প্রোগ্রামে উপস্থিত অতিথিরা জর্ডানগামী কর্মীদের সে দেশের আইন মেনে চলার পরামর্শ দেন। সমস্যায় পরলে স্থানীয় দূতাবাস পাশে থাকবে বলেও আশ্বাস দেন তারা।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব রুহুল আমিন বলেন, ‘কোনো সমস্যায় পড়লে আমাদের দূতাবাসে এসে জানালে দ্রুত সমাধান করা হবে। একই সাথে বোয়েসেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন।’
বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্টের চেষ্টা করা হচ্ছে উল্লেখ করে অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী জর্ডানগামীদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকার আহ্বান জানান। বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করারও অনুরোধ জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে নিজের সম্মানিত হবেন দেশও সমৃদ্ধ হবে। অবৈধ কোনোপথে জড়িত না হয়ে কাজ করলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।’
বোয়েসেল গেলো অর্থবছরে ১৫ হাজার ৫৬৮ জনকে বিনা খরচে ১৩টি দেশে পাঠিয়েছে।