অর্থনীতি

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোয় ব্যর্থতা: আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় পেল তদন্ত কমিটি

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেছেন, মালয়েশিয়ায় বিপুল সংখ্যক কর্মী যেতে না পারার কারণ খুঁজতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটিকে আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়েছে। এখন অবদি মালয়েশিয়া যেতে না পারা ৩ হাজার কর্মী অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (কর্মসংস্থান অনুবিভাগ) নূর মো. মাহাবুবুল হককে প্রধান করে সাত কর্মদিবসে মালয়েশিয়ার নির্ধারিত সময়ে কর্মী না যেতে পারার কারণ খুঁজে বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী তদন্ত কমিটির শেষ কর্মদিবস ছিল আজ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা ইমিগ্রেশনে মালয়েশিয়ার রিপোর্ট, ১০১টা রিক্রুটিং এজেন্ট, বায়রা থেকে রিপোর্ট নিচ্ছি। সে হিসেবে একটু সময় লাগছে। তদন্ত কমিটি একটু সময় চাইছে। আমরা তাদের আরও পাঁচ কর্মদিবস সময় দিয়েছি। ঈদের পরে আমরা বসবো রিপোর্ট নিয়ে।'

তিনি বলেন, 'আমরা প্রত্যেকটা সেক্টরে যেমন ইমিগ্রেশন দিয়ে কতজন মালয়েশিয়া যেতে পারছে, সেই প্রতিবেদনও আনছি। মালয়েশিয়ার যে অনলাইন যে ডিমান্ড আসছে, তারা কবে পাঠাইছে সেটাও আনছি।'

মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা চাই একটা সঠিক স্বচ্ছ প্রতিবেদন বেরিয়ে আসুক। কারণ কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব না করুক। যার মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হবে।

ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের সমস্যায় পড়তে না হয় সে ব্যাপারে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছে প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'আবেদন করার শেষ সময় ৮ জুন যদিও বলা হচ্ছে, এখনও আবেদন আসছে। আমরা এগুলো গ্রহণ করছি। তিন হাজার আবেদন এসেছে। এগুলোর মধ্যে সিঙ্গেল আবেদন নয়, গ্রুপ আবেদনও রয়েছে। যেহেতু পাঁচ কর্মদিবস বাড়ানো হয়েছে এর ভেতরে যা অভিযোগ আসবে তা আমলে নিয়ে আসা হবে।'

কর্মীদের টাকার ফেরতের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'টাকাটা ফেরত পাবার ব্যাপারে আমরা বসব। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আমরা চেষ্টা করব যেন সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়।'

শফিকুর রহমান বলেন, 'আমরা সিন্ডিকেট এলাউ করব না। রিক্রুটিং এজেন্সি যারা অনুমোদিত সবাই কাজ করবে। আমরা চাই সবাই কাজ করুক, সবার জন্য খোলা থাকুক। আমরা সিন্ডিকেটে বিশ্বাস করি না।'

যারা কাজ পাচ্ছে না রিক্রুটিং এজেন্সিকে ডেকে ও যারা কাজ দেওয়ার জন্য ডিমান্ড নোট দিয়েছিল যারা রিসিভার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা জানান মন্ত্রী। যদি কাজ না হয় তাহলে আমরা রিক্রুটিং এজেন্টের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব বলেও জানান তিনি।  

প্রসঙ্গত, মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী ভিসা পাওয়া বাংলাদেশি কর্মীদের দেশটিতে প্রবেশের শেষ দিন ছিল গত ৩১ মে। শেষ সময়ে বহু চেষ্টার পরও বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) ছাড়পত্র পাওয়া প্রায় ১৭ হাজার বাংলাদেশি দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পাননি বলে জানিয়েছে সরকার।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর