দেশের অর্থনীতিকে অনেকদিন ধরেই চাপে রেখেছে মূল্যস্ফীতি, ডলার সংকট। আর তা সামাল দিতে গত দেড় বছরে নীতি সুদ হার বেড়েছে ৯ বারের বেশি। তবু খুব একটা লাগাম টানা যাচ্ছে না মূল্যস্ফীতির।
দেশের অর্থনীতির এমন সব চ্যালেঞ্জ ও তা মোকাবিলায় করণীয় নানা বিষয় উঠে আসে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২২তম দ্বি-বার্ষিকী সম্মেলনের শেষ দিনে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, মূল্যস্ফীতির নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্তি পায়নি স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ীরাও। অর্থনৈতিক সমস্যার বাইরেও একচেটিয়া ব্যবসায়ীদেরও মূল্যস্ফীতি বাড়ার জন্য দায়ী করেন তারা।
কাজী খলিকুজ্জামান আহমদ বলেন, 'সিন্ডিকেটের কারণে মূল্যস্ফীতি মুক্তি পাচ্ছে না। তাদের দিকে নজর দিতে হবে। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে যে নীতি দেয়া হয় সে নীতি কাজ করবে।'
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, প্রতি বছরই বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে অযৌক্তিকভাবেই বেড়ে যায় অনেক পণ্যের দাম। এবারও এমনটা ঘটার শঙ্কা থাকায় আগে থেকেই ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ তাদের। এছাড়া রাজস্ব আদায়ে আরও পরিকল্পনা মাফিক এগুনোর কথা বলেন বক্তারা।
মূল্যস্ফীতি কমাতে আর্থিক খাতের পাশাপাশি অন্যান্য খাতের দিকেও নজর দেয়ার তাগিদ অর্থনীতিবিদ ও গবেষকদের। চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই জোগান বাড়ানোর পরাশর্ম তাদের।