সফরের দ্বিতীয় দিন আজ (বুধবার, ১৫ মে) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ডোনাল্ড লু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
বৈঠক সেরে এর পর দুপুর ৩টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পৌঁছান ডোনাল্ড লু। সেখানে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। প্রায় ঘণ্টা-খানেকের বৈঠক শেষে বিকাল ৪টায় বের হন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের বৈঠকের বিষয় নিয়ে ব্রিফ করেন ডোনাল্ড লু।
তিনি বলেন, ‘আস্থা ফিরিয়ে আনতে আমার এই সফর। আর পেছনে তাকাতে চাই না। সামনের দিনে সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিতে চাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছি। র্যাবের স্যাংশন নিয়ে কথা বলেছি।’
বাংলাদেশের ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও দু’দেশের সম্পর্ক সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘স্যাংশন, ভিসানীতির মতো আমাদের কিছু অপ্রিয় নীতি চালু আছে। তার পরও আমরা একসাথে এগিয়ে যেতে চাই। বাংলাদেশে অনেক দুর্নীতি আছে।অব্যবস্থাপনা আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে আমরাও তার সাথে ফাইট করতে চাই।’
এর আগে এদিন সকালে সচিবালয়ে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন ডোলাল্ড লু। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বৈঠক হয়। ডোনাল্ড লু জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে দু'দিনের সফরে বাংলাদেশে পৌঁছান ডোনাল্ড লু। শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকায় পৌঁছান। এই সফরে ব্যবসা, বিনিয়োগ, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তন, নাগরিক অধিকারের বিষয়ে ঢাকা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনা হচ্ছে। এছাড়া দু’দেশের অগ্রাধিকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এটি ডোনাল্ড লু'র প্রথম বাংলাদেশ সফর।