স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ দূতাবাসে এ সভার আয়োজন করা হয়।
কাতার বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মোহাম্মদ মাশহুদুল কবীর বলেন, 'সভায় প্রবাসীদের বাংলাদেশ সরকারের প্রবাস পেনশন স্কিমের বিষয়ে ধারণা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।’
কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রবাসীদের নিয়ে সরকারের এতো সুন্দর উদ্যোগ রয়েছে সে বিষয়ে আমরা জানিয়েছি। আশা করি, প্রবাসীরা এই পেনশন স্কিমের আওতায় উপকৃত হবেন।
সর্বজনীন প্রবাসী পেনশন স্কিম নিয়ে প্রবাসীদের মধ্যে এখনও স্পষ্ট ধারণা নেই। পেনশন স্কিম নিয়ে আরও বেশি প্রচারণা দরকার বলে মনে করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
এক প্রবাসী বাংলাদেশি বলেন, ‘এ সভার মাধ্যমে আমরা পেনশন স্কিম বিষয়ে ধারণা পেয়েছি। আগে এ বিষয়ে কিছুই জানতাম না। তবে এ বিষয়ে আরও বেশি প্রচার-প্রচারণা দরকার।’
প্রবাসে কর্মরত বা অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকরা পেনশন স্কিম চালু করতে পারবেন। প্রবাসীরা বাংলাদেশে যে ব্যাংক একাউন্টে রেমিট্যান্স প্রেরণ করেন, সে একাউন্ট থেকে টাকা জমা করে স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। পেনশন স্কিমের মেয়াদ শেষে দেশীয় মুদ্রায় পেনশন প্রদান করবে বাংলাদেশ সরকার। জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলেও পাসপোর্টের তথ্য দিয়ে পেনশন স্কিমে নিবন্ধন করতে পারবেন প্রবাসীরা। গত বছর বাংলাদেশ সরকার প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চার ধরনের সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে।