এই গ্রামের যুবক আতাউর রহমান। গত ২০ বছর ধরে তৈরি করছেন গোলাপ, শাপলা ও সূর্যমূখীসহ কয়েক ধরনের প্লাস্টিকের ফুল। আতাউর রহমান বলেন, 'আমাদের প্রতিটি ফুল তৈরিতে খরচ হচ্ছে ৪ থেকে ৫ টাকা। যা বিক্রি করছি ৮ থেকে ১০ টাকায়। যাতে আমার মাসে আয় হচ্ছে ১৫ হাজার টাকার মতো।'
শুধু আতাউর রহমান নয় প্রতিটি বাড়িতের চলছে এই কর্মযজ্ঞ। অন্তত ৩শ' পরিবার এখন প্লাস্টিকের ফুল তৈরির সঙ্গে জড়িত। এ গ্রাম থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ফুল উৎপাদন হয়।
ফুলের তৈরির সাথে জড়িত একজন বলেন, 'আমাদের এই গ্রাম ফুলের গ্রাম হয়ে গেছে। এখানকার এই ব্যবসা দিয়ে আমাদের জীবন জীবিকা চলছে। যেখানে ৪ মাস ব্যবসা করলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ আছে।
এখানকার তৈরি করা ফুল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়িসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। তবে গত কয়েক বছরের ব্যবধানে ফুল তৈরির উপকরণের দাম বেড়েছে অন্তত ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। যাতে লাভের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।
ফুলের তৈরির কারিগর বলেন, 'আগে ফুলের দাম যেমন ছিল এখনো তেমনই আছে তবে উৎপাদনের জন্য যে উপকরণ রয়েছে তার দাম অনেক বেশি। আগে ছিল কাগজের কেজি ২শ' থেকে ২২০ টাকা আর এখন কিনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা কেজি দরে।'
জামগ্রাম থেকে বছরে অন্তত সাড়ে ৩ কোটি টাকার ফুল বিক্রি হয়।