আন্তর্জাতিক লেনদেন ব্যবস্থাপনায় স্থিতিশীলতা আনতে কিংবা বাজেট সহায়তা হিসেবে আইএমএফের কাছ থেকে ৩০টি শর্তে ৪৫০ ডলার ঋণ চেয়েছিল বাংলাদেশ, তার দুইটি কিস্তি এরইমধ্যে হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
৪২ মাসে ৭ কিস্তিতে এই ঋণের প্রতিটি কিস্তির অর্থছাড়ের আগে আরোপিত শর্ত পূরণে কতটা ভালো করছে গ্রহিতা দেশ তা নিয়ে পর্যালোচনা করে ঋণদাতা সংস্থাটি।
সচিবালয়ে এ নিয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন আইএমএফের বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক প্রতিনিধি। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, শর্ত পূরণে ভালো করায় বাংলাদেশের ওপর খুশি আইএমএফ। তৃতীয় কিস্তির অর্থছাড়ের আগে আগামী দুই একমাসের মধ্যেই ঢাকা সফরে আসবে সংস্থাটির প্রতিনিধি দল।
এখানে সাংবাদিকরা অর্থমন্ত্রীকে দুর্বল ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালীগুলোর সঙ্গে একীভূত করার ব্যাপারে জানতে চান। তিনি বলেন, সবাইকে এগিয়ে নিতে এ পরিকল্পনা মন্দ নয়।
এর আগে গত ডিসেম্বরে আইএমএফ ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার পায় বাংলাদেশ। ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের নির্বাহী পর্ষদের বৈঠকে অনুমোদিত হয় ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ প্রস্তাব। অনুমোদনের তিনদিন পরই প্রথম কিস্তির ৪৭ কোটি ৬২ লাখ ৭০ হাজার ডলার ছাড় দেয় সংস্থাটি।