বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, সংস্কার অগ্রাধিকার এবং একটি স্থিতিশীল ও জবাবদিহিমূলক শাসন কাঠামোর দিকে দেশের উত্তরণ নিয়ে আলোচনা হয়। এনসিপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এনসিপি প্রতিনিধি দলটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এই সংকটময় সময়ে আইএমএফ-এর অব্যাহত সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। দলটি আইএমএফ-এর সুস্পষ্ট সংস্কার রোডম্যাপের প্রশংসা করে জানায়, প্রস্তাবিত পদক্ষেপগুলো ভবিষ্যতে একটি টেকসই ও সহনশীল অর্থনীতি গঠনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আলোচনার সময় আইএমএফ দল জিডিপি প্রবৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণ, রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত, ডিস্ট্রেসড আ্যাসেট এবং যুব কর্মসংস্থানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
এনসিপি প্রতিনিধিরা এসব চ্যালেঞ্জ স্বীকার করে রাজস্ব ডিজিটালাইজেশন এবং চলমান আর্থিক খাত সংস্কারে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় আরও আলোচ্য ছিল পূর্ববর্তী সরকারের ‘ক্লেপ্টোক্রেসি’ কীভাবে শুরু হয়েছিল, জাতীয় অর্থনীতি ও প্রশাসনে এর প্রভাব কী ছিল এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্নীতিকে রোধ করতে কী ধরনের কাঠামোগত সংস্কার প্রয়োজন।
এছাড়া অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির পরিমাণ, স্বচ্ছতা ও সুশাসন জোরদার এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে একটি নির্বাচিত প্রশাসনের কাছে শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করার বিষয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠকে উভয় পক্ষই আশা প্রকাশ করে যে, বাংলাদেশের কঠোর পরিশ্রমী জনগণই উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি এবং জনগণের সম্মিলিত মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে দেশ আরও সহনশীল ও স্থিতিশীল অর্থনীতির দিকে এগিয়ে যাবে।
বৈঠকে আইএমএফ-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মিশন প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিউ, আবাসিক প্রতিনিধি ম্যাক্সিম ক্রিশকো এবং ডেপুটি সেক্রেটারি ও ইকোনমিক এনালিস্ট তৌহিদ এলাহি। এনসিপি-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক ও শিল্প ও বাণিজ্য সেলের প্রধান জাবেদ রাসিন, যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সেলের প্রধান মো. সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া, যুগ্ম সদস্য সচিব ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সেলের কো-লিড আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, সংগঠক ও শিল্প ও বাণিজ্য সেলের কো-লিড আব্দুল্লাহ আল মামুন ফয়সাল এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক ও শিল্প-বাণিজ্য সেলের সদস্য মো. আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।—বাসস





