৯১ ডলারের মাথাপিছু আয় অর্ধশতাব্দীতে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭০০ ডলারে। দিনে দিনে বড় হয়েছে অর্থনীতি। কৃষি ও শিল্প উভয় খাতেই বেড়েছে উৎপাদন। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ভারত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি দেশের চাইতে উৎপাদন খাতে বেশ এগিয়েছে বাংলাদেশ। ২০৪১ সালে দেশের উৎপাদন খাতের লক্ষ্যমাত্রা ৩০০ বিলিয়ন ডলার।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অর্থনীতির পরিধি বাড়লেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষেত্রে জেঁকে বসেছে সমস্যা। বিনিয়োগ বাড়লেও পণ্য সরবরাহ, বন্দর ব্যবস্থাপনা, অগ্রিম ট্যাক্স নেয়াসহ নানা কারণে শঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে সেমিনারে এসব সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
এফবিসিসিআই'র সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, 'উন্নয়ন ও ব্যবস্থা্পনা নিশ্চিত করা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং লজিস্টিকের উপর পলিসির বাস্তবায়নে জোর দেয়া।'
বাংলাদেশ পলিসি এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, 'ব্যবসার সাথে একটা বড় জিনিস জড়িত তা হলো সরবরাহ করা। এর সাথে ১৬ টা মন্ত্রণালয় এবং ২৮টা বিভাগ জড়িত।'
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্য সচিব বলেন, বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের পণ্যের চাহিদা থাকলেও প্রয়োজনীয় শিক্ষা ও দক্ষ লোকের অভাবে দেখা দিচ্ছে উৎপাদন ঘাটতি। এদিকে রাজস্ব আহরণ নীতি সহজ করতে ব্যবসায়ীদের কাছে সহযোগিতা চান এনবিআরের কর্তাব্যক্তিরা।
এনবিআরের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক বলেন, 'আপনারা যদি সবাই সঠিক দাম ঘোষণা করেন তাহলে কিন্তু আমাদের একটুও ভ্যালু করতে হয় না। আপনারাও এগিয়ে আসেন আমরাও এগিয়ে আসবো।'
সরকারের উন্নয়ন দর্শন বাস্তবায়নে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব। বৈশ্বিক অর্থনীতির সঙ্গে তুলনা নয় বরং নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ তার।
ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, 'আমাদের দেশীয় শক্তিমত্তাকে পুষ্ট করলে কিন্তু পশ্চিমাদের ব্যবস্থাপনায় চলতে হবে না। আমাদের নিজস্ব মার্কেট এবং সার্মথ্য আছে।'
সেমিনারে শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্পের উপর নির্ভর না করে উৎপাদনের ক্ষেত্র বাড়ানো এবং পরিবেশবান্ধব ও ডিজিটাল অর্থনীতির প্রতি জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন বক্তারা।