করদাতাদের উৎসাহ দিতে এবারও ২০২২-২৩ করবর্ষে দেশসেরা ১৪১ প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা দিলো রাজস্ব বোর্ড। সংস্থাটির এ তালিকাই বলে দেয়, কে নিজের আয়ের অংশ রাষ্ট্র পরিচালনায় দিতে চান, আর সক্ষমতা থাকতেও কারা বেছে নেয় ফাঁকিঝুঁকি। তাই দেশের অগ্রযাত্রা ও স্বনির্ভরশীল হতে সবাইকে অংশীদার হওয়ার আহ্বান সেরা চতুর্থ করদাতার। এনবিআরের কাছে আরও সেবা প্রত্যাশা করেন ২৭ বছর বয়স থেকে কর দিয়ে আসা দেশের অন্যতম শীর্ষ প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান। বলেন, ‘কর আরও বেশি দেয়া উচিৎ বলে আমি মনে করি। এনবিআর যত বেশি সেবা দেবে কর দেয়া তত বেশি বাড়বে।’
কর রেয়াত ও উৎপাদনমুখী খাতে করছাড় ২ লাখ কোটি টাকারও বেশি। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা চ্যালেঞ্জ হলেও এনবিআরের এ ছাড় অপব্যবহার হচ্ছে না বলে দাবি করদাতাদের।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মাননা নিতে এসে এমনটাই জানান করদাতারা।
বিএটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহ্জাদ মুনীম বলেন, ‘প্রতি ৫ বছরে আমরা এই কর নীতিতে চলবো।’
আমায়া সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসলাম সেরনিয়াবাত বলেন, ‘আমরা যারা সব সময় কর দিয়ে থাকি তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ না করে, জেলা-উপজেলার সব অফিসগুলোকে আরও জোরদার করতে হবে।’
তবে রাজস্ব বাড়ানোর সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হবে আয়কর। তাই আমদানি-রপ্তানিতে শুল্ক ছাড় দিয়ে আয়করের পরিধি বাড়ানোর পরামর্শ অর্থ সচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদারের।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলছেন, করের পরিধি বাড়াতে ধারাবাহিক পরিবর্তন হচ্ছে আইনি কাঠামোতে। ব্যক্তি করদাতা বাড়াতে শিগগিরই তৈরি হবে ২৮টি নতুন কর অঞ্চল।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। যা মোট রাজস্বের ৮৬ শতাংশ। অপরদিকে এনবিআরের মোট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রার ৩৪ শতাংশ আসে আয়কর থেকে- এ পরিসংখ্যান বাড়ানোই বড় চ্যালেঞ্জ সংস্থাটির।


