চট্টগ্রাম যেন কাগজে-কলমে বাণিজ্যিক রাজধানী

0

চট্টগ্রাম কী আসলেই বাণিজ্যিক রাজধানীর রূপ পেয়েছে? নাকি দিনে দিনে এই নগরীর মানুষ আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড রাজধানীমুখী হয়েছে?

বিশাল সমুদ্র আর কর্ণফুলী নদীর আশীর্বাদপুষ্ট চট্টগ্রাম। হাজার বছর আগে যে নৌপথ ধরে এ দেশের বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু হয়। সে ধারাবাহিকতায় এখনও দেশের অর্থনীতি আর বাণিজ্যের চাকা ঘুরায় এ নগরী। যার প্রবেশমুখ চট্টগ্রাম বন্দর, যেখান থেকে দেশের ২৫-৩০ শতাংশ রাজস্ব আসে।

|undefined

চট্টগ্রাম বন্দর। ছবি: এখন টিভি

দেশের সর্ববৃহৎ ইকনোমিক জোন, টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কক্সবাজার রেললাইন, বিদ্যুতকেন্দ্র, বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণসহ নানা অবকাঠামোয় সমৃদ্ধ হয়েছে চট্টগ্রাম।

বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্টগ্রাম-১০ আসনটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনোয়ন পেয়েছেন এম এ লতিফ। তিনি বলেন, ভৌগোলিক সুবিধার কারণে চট্টগ্রামে শিল্পকারখানা আর বাণিজ্য বাড়লেও অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা একেবারে বাড়েনি। তাই সত্যিকারের বাণিজ্যিক রাজধানী গড়তে অবকাঠামোর পাশাপাশি অর্থনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

মিরসরাইয়ে দেশের সর্ববৃহৎ ইকনোমিক জোন হচ্ছে। ৩০ হাজার একর জমিতে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ নিয়ে ছুটে আসছেন। এই আসনে সরকারি দলের মনোনয়ন পেয়েছেন হোটেল, পর্যটন ও বিনোদন ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান রুহেল। তিনি বলেন, পর্যটক আর বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে চট্টগ্রামকে স্মার্ট নগরীতে রূপ দিতে হবে।

সমুদ্র উপকূল আর পাহাড়বেষ্টিত উপজেলা সীতাকুন্ডে শিপ ব্রেকিং, ইস্পাত শিল্পসহ কয়েকশো ছোট-বড় কারখানা রয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন শিল্পপতি এস এম আল মামুন। তিনি বলেন, শিল্পকারখানা স্থাপনে নীতিগত সহায়তা, কাগজপত্রের অনুমোদন ও পণ্যের মান পরীক্ষার জন্য রাজধানী নির্ভরতা কমাতে আমরা কাজ করবো।