ভূগর্ভস্থ পানির সংকটে বিপাকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কৃষকরা

কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
এখন জনপদে
0

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকটে বিপাকে কৃষকরা। সেচ নির্ভর চলতি মৌসুমে ধান চাষে এই সংকট আরও তীব্র। এমন পরিস্থিতিতে বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বেশি পানি ব্যবহার হয় এমন ফসল চাষাবাদ কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। এমন উদ্যোগে ধান উৎপাদন কমার শঙ্কা স্থানীয়দের। কৃষি বিভাগ বলছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পানির ব্যবহার নিশ্চিতেই নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।

বোরো মৌসুম ঘিরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাঠে মাঠে পড়েছে ধানের চারা রোপণের ধুম। সরিষা, গম ঘরে তুলে জমি প্রস্তুতে ব্যস্ত চাষিরা। তবে ভূগর্ভস্থ পানির তীব্র সংকটে এবার বরেন্দ্র অঞ্চলে কমেছে বোরো আবাদের পরিমাণ।

শুষ্ক মৌসুমে পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অতিরিক্ত পানির ব্যবহার হয় এমন ফসল চাষে নিরুৎসাহিত করে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। তাই জেলা সদর, নাচোল ও গোমস্তাপুর উপজেলায় ধানের পাশাপাশি আবাদ করা হচ্ছে মসুর, ভুট্টা, পেঁয়াজসহ নানা ফসল। তবে ধান চাষ কমানোয় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা।

সেচের ডিপ অপারেটর জানান, এলাকা ভেদে কয়েক বছরে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমেছে ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত। আর বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ বলছে, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই নেয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মো. মুসাইদ মাসরুর বলেন, ‘মাটির নীচে যে অ্যাকুয়াভার আছে সেখানে সন্তোষজনক পানি পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এ কারণে যেন সমস্যা না হয় আগে থেকেই বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষ কৃষকদের সজাগ সতর্ক করছে।’

কৃষি বিভাগ বলছে, পানির ব্যবহার কমাতে তেল-ডাল জাতীয় ফসল চাষাবাদে উৎসাহিত করা হচ্ছে চাষীদের।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার বলেন, সিজনে আমরা যে ধান করি সেখানে ২১ থেকে ২৩টা সেচ লাগে আমাদের। কিন্তু আমরা যদি গম, ডাল বা ভুট্টা জাতীয় ফসল আবাদ করি তাহলে সেখানে ২ থেকে ৩টা সেচ হলেই চলে।’

গতবছর জেলায় ধান চাষ হয়েছিল ৫২ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে। আর চলতি বছরে রোপণ করা হয়েছে ৪০ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমিতে।

এএইচ