জন্মসনদ আনতে গিয়ে বিড়ম্বনার কথা বলছিলেন সিলেট নগরীর ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা। ভোগান্তির এ চিত্র পুরো নগরীর সব ওয়ার্ডেই। গেল ১৯ আগস্ট মেয়র ও ২৬ সেপ্টেম্বর ৪২টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অপসারণের পর থেকেই এমন দুর্ভোগের শিকার নগরীর সেবাপ্রত্যাশীরা।
সংকট নিরসনে নগরীর বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ১৩ জন কর্মকর্তাদের ওপর অস্থায়ী দায়িত্ব দেয়া হলেও মেলেনি সুফল। দীর্ঘসময়েও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী
পাশাপাশি নাগরিক প্রত্যয়ন, জন্ম ও মৃত্যু সনদ সহজে প্রাপ্তিতেও বড় বাধা অনলাইন সার্ভার সংক্রান্ত জটিলতা।
সার্ভার জটিলতাসহ ওয়ার্ডগুলোতে জনপ্রতিনিধি না থাকায় আগের চেয়ে বর্তমানে বেশি সময় লাগছে বলে স্বীকার করেন খোদ সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারাও। তবে এ সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশন যথেষ্ট আন্তরিক বলে দাবি করছেন সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমান যে কর্মকর্তা আছে তারা সবাইকে চেনে না, এজন্য তারা একটু যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধান করে তারপর দিচ্ছে। এ কারণে একটু সময়ক্ষেপণ হচ্ছে।’
যদিও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকলে এ সমস্যা সহজ সমাধান সম্ভব নয় বরং স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত সম্পন্নের পরামর্শ তাদের।
সিলেট সুজন সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘হয়রানি আর্থিক ও মানসিকভাবে সবভাবে হচ্ছে তাই অনতিবিলম্বে আমরা মনে করে যে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা ভালো হবে।’
দাপ্তরিক ও সকল কারিগরি জটিলতা এবং দীর্ঘসূত্রতা থেকে বেরিয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের নাগরিক অধিকার বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা নগরীর লাখো মানুষের।