শেরপুরের নাকুগাঁও স্থলবন্দর থেকে নেত্রকোণা, সিলেট ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট যেতে পাড়ি দিতে হয় ভোগাই নদী। যাতায়াত সহজ করতে ২০১১ সালে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় চারআলী সেতু।
গত কয়েক বছর ধরে সেতু এলাকায় ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছে বালু। ৫ আগস্টের পর যা আরো বেড়েছে। এতে পিলারের নিচে তৈরি হয়েছে গর্ত। বেরিয়ে এসেছে পাইলিংয়ের রড। এ অবস্থায় ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে সেতুটি।
প্রশাসনের আড়ালে শ্রীবরদির সোমেস্বরী নদী থেকেও তোলা হচ্ছে বালু। উপজেলার মেঘাদল, হাড়িয়াকোনা ও কর্নজোড়ায় প্রতি রাতে বিক্রি হচ্ছে শত শত ট্রাক বালু। একই অবস্থা ঝিনাইগাতির মহারশী নদীরও। এতে নদী যেমন তার গতিপথ বদলাচ্ছে তেমনি ভাঙনে বিলীন হচ্ছে তীরবর্তী জনপদ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘বালু কাটার জন্য মানুষের বাড়িঘর নদীতে গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে।’
আরেকজন বাসিন্দা বলেন, ‘প্রশাসন এসে অভিযানে জরিমানা করে পরে প্রশাসন চলে গেলে আবার শুরু হয় বালু কাটা।’
অবৈধভাবে বালু তোলা বন্ধে নিয়মিত অভিযান চালানোর কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। তবে সংকট নিরসনে সকলের সহায়তা চান তারা।
শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘অভিযানে এখানে যেসব অবৈধ বালু কাটা ড্রেজার রয়েছে তা আমরা ধ্বংস করছি। পাশাপাশি জেল জরিমানাও হচ্ছে।’
অবৈধভাবে বালু তোলায় গত ১০ মাসে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়েছে। জরিমানা করা হয় প্রায় ২৮ লাখ টাকা। ধ্বংস করা হয়েছে ড্রেজার মেশিন ও পাইপ। এরপরও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু উত্তোলন।