৫৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের বরিশাল সিটি করপোরেশেন এলাকায় চলাচল করে প্রায় ২০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। গেল প্রায় ১০ বছরে নগরীতে এই বাহনের সংখ্যা বেড়েছে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে।
দীর্ঘদিন ধরেই বরিশাল মহানগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থাপনায় চলছে অনিয়ম। ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজিবাইকের দাপটে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। রাস্তায় নামলেই নাকাল হতে হয় নগরবাসীকে।
নগরীজুড়ে ২০ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চললেও সিটি করপোরেশনের তালিকাভুক্ত মাত্র ৭ হাজার ৬১০টি। ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সম্প্রতি ব্যাটারিচালিত হলুদ ইজিবাইকের লাইসেন্সের নাবায়নের কার্যক্রম হাতে নিয়েছে সিটি করপোরেশন। এতে চালকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নীতিমালার আওতায় আনা যাবে বলে মনে করেন কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী।
বরিশাল সিটি করপোরেশন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল বারী বলেন, ‘তাদেরকে আমরা সিস্টেম মধ্যে নিয়ে আসব। এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৬১০ এর মধ্যে ১২শ মতো হয়ে গিয়েছে। পর্যায়ক্রমে যদি বাড়ে তখন আমরা হয়তো চিন্তা করব সকালে অর্ধেক ও বিকেলে অর্ধেক করে চলবে।’
২ বছরের বকেয়া ফি মওকুফ করে ৪ বছরের জন্য ২৪ হাজার টাকায় লাইসেন্স নবায়নের সুযোগ পাওয়ায় খুশি চালকরাও। এতে নগরীতে যানজট নিরসনের পাশাপাশি আয়ও বাড়বে বলে মনে করেন তারা। একই সাথে নগরীর ৪টি পয়েন্টে স্ট্যান্ড নির্মাণ ও সব রুটের ভাড়ার তালিকা প্রণয়নের দাবি শ্রমিক ইউনিয়নের।
বরিশাল জেলা ও মহানগর ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক শ্রমিক কল্যাণ সংগঠন সভাপতি মোশারফ গাজী বলেন, ‘ এই যানজট সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনের অনিহার জন্য তৈরি হচ্ছে, আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই।’
এদিকে নগরীর যানজট নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশের ট্রাফিক বিভাগও। নানা উদ্যোগে দ্রুত সময়ের মধ্যে নগরীর যানজট নিরাসন হবে বলছে তারা।
বরিশাল পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ওয়ার্কশপ বন্ধ করে যার কারণে আর ইজিবাইক তৈরি হচ্ছে না, এর মাধ্যমে যানজট কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে, এছাড়া শহরের বাহিরে থেকে যেসব গাড়ি ঢুকতো আমরা তিনটা চেক পয়েন্ট দিয়ে সেটা বন্ধ করেছি। ’
বরিশাল সিটি করপোরেশনের বিগত তিন মেয়রের আমলে হাজার ৬১০টি অটোরিকশার টোকেন দেয়া হয়েছিলো। প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ৬১০ টি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের লাইসেন্স নবায়নের ঘোষণা দিয়েছে সিটি করপোরেশন।