শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে থমথমে কলকাতার টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়ার পরিবেশ। স্থানীয় সময় সকাল ১০টার মধ্যে অভিনেতা, অভিনেত্রী থেকে শুরু করে মেকআপ আর্টিস্টরা ফ্লোরে পৌঁছালেও দেখা মেলেনি পরিচালকদের।
টালিগঞ্জে টেকনিশিয়ান ফেডারেশন আর পরিচালক গিল্ডের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। ২০২৪ সালে একাধিকবার কলাকুশলী ও পরিচালকদের দ্বৈরথ দেখা গেছে। সম্প্রতি অসঙ্গতির কারণ দেখিয়ে টালি পাড়ার ৩ পরিচালক, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীজিৎ রায়কে নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয় 'ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স'। টেকনিশিয়ানদের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় তাদের শুটিং।
এমন ঘোষণার পর গেল বৃহস্পতিবার ফেডারেশনের কাছে অভিযোগ জানায় ডিরেক্টরস গিল্ড। সিনে টেকনিশিয়ান ফেডারেশন কোনো সাড়া না দেয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে ফ্লোর বয়কটের ঘোষণা দেন তারা। যদিও, ফেডারেশন সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের অভিযোগ, আলোচনা না করেই কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পরিচালকেরা।
ফেডারেশন অব সিনে টেকনিশিয়ান অ্যান্ড ওয়ার্কার্স সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন জিতে এসে ফেডারেশনকে একটা নতুন দিশা দেখাতে পারবে তাহলে মোস্ট ওয়েলকাম। গিল্ড থেকে জিতে আসুন আর ফেডারেশনের এসে এই নয়টা বডির মধ্যে দাঁড়ান, আপনি জিতুন না। সাড়ে আট হাজার টেকনিশিয়ান যাকে ভোট দিয়ে বেছে নেবেন। তিনি ফেডারেশনের দিক নির্দেশনা করবেন।’
অভিনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি যেটা চাই যদি এটাতে কোনোভাবে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাত হয়ে যায়, সেটা যেকোনো ক্ষেত্রে হোক না কেন। তাহলে সেটা অনভিপ্রেত।’
সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পরিচালকদের এই ধর্মঘটের বিরোধিতা করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। আর টালিগঞ্জের পরিচালকদের একাংশ বলছে, ডিরেক্টররা ফ্লোরে যাবে না, কিন্তু শুটিং চলা নিয়ে তাদের কোনো আপত্তি নেই।
তাদের অভিযোগ যে ৩ পরিচালককে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, লাগাতার তাদের কাজও কেড়ে নিচ্ছে ফেডারেশন কর্তারা। ফলে, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান ছাড়া শুটিং ফ্লোরে ফেরার কোনো ইচ্ছা নেই বলে সাফ জানিয়েছে ডিরেক্টরস গিল্ড।