আজ (মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভোলিউশন’ এর আওতায় চলচ্চিত্র নির্মাণ শীর্ষক প্রেস ব্রিফিং এ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি হিসেবে শহীদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্য নেয়া হবে। আহতদের বক্তব্য ধারণ করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে পারে না। এর মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট বিরোধী দেয়াল নির্মাণ করা হবে।
এর অংশ হিসেবে জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে ৮ বিভাগের চলচ্চিত্রকারদের নিয়ে ৮টি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হবে।
এজন্য নির্বাচিত ৮ পরিচারক প্রশিক্ষণ দিবেন। তারা হলেন অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, নুহাশ হুমায়ুন, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল ইসলাম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ, তাওকীর ইসলাম। চলচ্চিত্র নির্মাণের এ কাজ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
এ নিয়ে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশে সবকিছু রাজধানী কেন্দ্রিক। এর বাইরে মনে হয় কিছু নেই। এটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনা না। এই বৈষম্য মাথায় রেখে কর্মশালা ৮ বিভাগে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের তরুণদের চলচ্চিত্র বিষয়ক সৃজনশীলতার উদঘাটন ও স্বীকৃতি দেয়া যাবে।’
কর্মশালার মাধ্যমে যে ৮টি চলচ্চিত্র নির্মিত হবে এক্ষেত্রে সরকারের কোনো নির্দেশনা নেই। নির্মাতারা জুলাই বিপ্লবকে সামনে রেখে তুলে আনবে নানা চিত্র বলেও জানান তিনি।
যাত্রা শিল্পের সমস্যা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘যাত্রা প্রদর্শনের জন্য শিল্পকলা একাডেমিকে নিবন্ধন দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘কোনো শিল্প বাধা দিতে চায় না সরকার।’