সংগ্রাম, আন্দোলন, বেদনা আর প্রেমের কবির কবিতা ও গানে অনুপ্রাণিত হয়েছে এদেশের মানুষ। আইন না মানা কবি বলেছেন সাম্যবাদের কথা, গেয়েছেন মানুষের মুক্তির গান। তার জন্মবার্ষিকীতে অভিভাবকদের সঙ্গে শিশুরা কবিকে স্মরণ করতে এসেছে।
স্কুল পড়ুয়া এক শিশু বলেন, ‘নজরুলের কবিতার ভেতর অনেক আধুনিকত্ব ছিল। তার কবিতায় অনেক দ্রোহ ছিল। আমার বিদ্রোহী কবিতা অনেক বেশি পছন্দ।'
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধিতে সর্বজনের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়েছেন জাতীয় কবি। সমাধিতে ঢাবি উপাচার্য, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের নেতাসহ কবি পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
কবির নাতনী খিলখিল কাজী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কবির জন্মদিনে ছুটির দাবি রয়েছে, যা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। নজরুল রচনাবলী আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেগুলো অবিলম্বে অনুবাদের মাধ্যমে পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া হোক।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘কবির মৃত্যুর পর বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনায় তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সবুজ চত্বরে সমাহিত করা হয়।
এদিকে কবির কাজ সংরক্ষণ ও অনুবাদের উদ্যোগ নিচ্ছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এতে জাতীয় কবির কবিতা ও গান দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে।
এদিন জাতীয় কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে নানা বয়সী মানুষ আসেন। তবে শিশুদের উচ্ছ্বাস যেন একটু বেশিই ছিল। নজরুলের কবিতা ও গান শিশুদের কাছে বেশি পছন্দের। অনেকে স্মৃতিচারণ করেছেন।