হালুম সবাইকে ভালোবাসে। আর ইকরি ভালোবাসে গাইতে, সেই গানেই আনন্দে আত্মহারা শিশুরা।
মেলার সময় দু’দিন বাড়ানোর ফলে এই বাড়তি পাওনা। পরিবারের সাথে সকাল সকাল বইমেলায় হাজির হাজারো শিশু। গানের তালে সিসিমপুরের বন্ধুরা বলছিলো বই পড়ার কথা, শোনাচ্ছে স্বাস্থ্য ভালো রাখার উপায়।
এখানে নেই কোন চাওয়া-পাওয়া। আছে কেবল বিশুদ্ধ হাসি, যার জন্য অভিভাবকরা ছুটির দিনের অবসর ভেঙে ছুটে আসেন শিশু চত্ত্বরে। সন্তানদের কিনে দিচ্ছেন পছন্দের বই।
শিশুরা বলেন, ‘বাবা-মা’র সঙ্গে আসছি, বিজ্ঞানের ও গল্পের বই কিনবো। ইকরি, হালুম দেখে আমাদের খুব ভালো লাগছে।’
শিকুর মতো কেউ বিজ্ঞানী হবার স্বপ্ন নিয়ে কিনতে এসেছি বিজ্ঞানের বই। আবার কারো পছন্দ ভূতের গল্পের বই। এখানে পছন্দের বই খুঁজতে ব্যস্ত সবাই।
এক শিশু বলেন, আমি এবারের বইমেলা থেকে মহাকাশের বই কিনেছি।
স্কুলের ছোট্ট শিক্ষার্থীদের নিয়ে ছুটে এসেছেন শিক্ষকরা। পরিচয় করানোর চেষ্টা বইয়ের সঙ্গে।
এক শিক্ষক বলেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসছি, তারা বইয়ের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। এমন আয়োজনে শিক্ষার্থীরা আসতে পারলে অনেক খুশি হয়।
শিশু চত্বর ও বইমেলার বাকি আছে আর মাত্র একদিন। এরপর আবার বছর ঘুরলে মিলবে শিশুদের এই আনন্দ।