বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেয়া অনেকেই মেট্রোরেলে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে আসেন। সেখান থেকে রিকশায় যান ইজতেমা প্রাঙ্গণে।
অন্যদিকে বইমেলা যেন আগের থেকেও বেশি জমজমাট হয়ে উঠেছে। বইমেলায় এবছরে আলাদা মাত্রা যোগ করেছে এই মেট্রোরেল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনে তার প্রতিফলন চোখে পড়। শহরের নানা জায়গা থেকে সহজে আসা যাচ্ছে বই মেলায়। আর সময়ও লাগছে কম।
অনেকেই বলেন, শুরুর দিকে এতো উপস্থিতি ছিলো না। মানুষের উদ্দেশ্য এখন দুটি। একটা হলো মেট্রোতে চড়া আর অন্যটা বইমেলা ঘোরা।
আরাম করে বইমেলায় আসতে পারায় স্বস্তি প্রকাশ করেন অনেক যাত্রী।
নানা পেশার মানুষ ছুটির দিনে বই মেলায় আসে পরিবার নিয়ে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই শিশুদের আনাগোনা ছিল লক্ষ্যনীয়। প্রথমবারের মতো মা-বাবার সাথে শিশুপ্রহরে এসেছে অনেক শিশু।
অভিভাবকরা বলেন, ' বাচ্চারা সিসিমপুর খুব পছন্দ করে। প্রতি বন্ধের দিনে তাদেরকে নিয়ে আসবো।'
সময় বাড়ার সাথে সাথে বইয়ের বিক্রি আরও বাড়বে। মেট্রোরেল হওয়ায় পাঠক সমাগম আরও বাড়ার আশা বিক্রেতা ও প্রকাশকদের।
প্রকাশকরা বলেন, 'যাতায়াত ব্যবস্থা বইমেলার একটা পূর্বশর্ত। দূর থেকে যারা আসবে মেট্রো থাকাতে এটা অনেক সহজ হয়ে গেছে। মেট্রো পাঠক সমাগম আরও বাড়াবে।'
শুরুর দিকে উপচেপড়া ভিড় থাকলেও এরপর স্বাভাবিক হয় ঢাকার মেট্রোরেলে যাত্রী সমাগম। তবে সরকারি ছুটির দিন, বইমেলা আর সাথে বিশ্ব ইজতেমার কারণে পুরনো চেহারায় ফিরেছে দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক এ যানবাহন।