আজ (শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর) রাতে নিজ কার্যালয়ে র্যাব ১৪ এর ৩ নম্বর কোম্পানি কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন জানান, ১৪ অক্টোবর সকালে এক শিশুকে স্কুলে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত কথিত মামা ফজলু মিয়া গজারি বনের ভেতরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরিবারের সদস্যদের কাছে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। শিশুটির মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সখিপুর থানায় ধারায় মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামি মো. ফজলু মিয়াকে (৪০) শুক্রবার সন্ধ্যায় সখীপুরের নলুয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া পর্নোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইলের মেহেদী হাসান মিলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে কৌশলে ওই নারীর ২২ সেকেন্ডের আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেন তিনি।
ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন মিলন। সর্বশেষ গত ৪ অক্টোবর আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ও ভুক্তভোগীকে অপহরণের হুমকি দেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী বাদি হয়ে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে ফরিদপুর ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে শুক্রবার বিকেলে কালিহাতীর তেজপুরথেকে প্রধান আসামি মেহেদী হাসান মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।





