এসময় ইসলামী ছাত্রশিবিরের তিন থেকে চারজন নেতাকর্মীকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে কবিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে মসজিদে জামাতের সঙ্গে যেসব শিক্ষার্থী ১০ দিন একটানা নামাজ আদায় করবে তাদের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়। আজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলায় পুরস্কার বিতরণের দিন নির্ধারণ করা হয়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল থেকে আবদুল্লাহ মিয়ার হাট জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রায় শেষ পর্যায়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে আট থেকে দশজন এসে অনুষ্ঠানে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি আরাফাত হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে দশদিন ব্যাপী জামাতে নামাজ আদায় প্রতিযোগিতার শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষে আবদুল্লাহ মিয়ারহাট জামায়াতে ইসলামীর কার্যালয়ে তারা একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানের শেষের দিকে বিএনপির একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতে হামলা চালায়। তারা চেয়ার ভাঙচুর করে।’
আরও পড়ুন:
আরাফাত হোসেনের অভিযোগ, হামলায় জেলার সাবেক ও বর্তমান অফিস সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদকসহ চারজন হামলার শিকার হন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
তবে জামায়াতের কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা চৌধুরী লিটন।
তিনি বলেন, ‘স্থানীয় এক ব্যক্তি চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া তার ছেলেকে মাদ্রাসায় না পেয়ে খোঁজাখুঁজি এক পর্যায়ে জামায়াত কার্যালয়ে দেখেন। তখন তিনি এত কম বয়সী শিক্ষার্থীকে কেন অনুষ্ঠানে আনা হয়েছে- সেটি জানতে চান। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হামলা কিংবা ভাঙচুরের অভিযোগ ঠিক নয়।’
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন মিয়া বলেন, ‘জামায়াতের কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন নিয়ে আবদুল্লাহ মিয়ারহাটে জামায়াত ও বিএনপির কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও এলাকার পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে।’





