স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জগৎনগর গ্রামে ভাঙারি ব্যবসায়ী আলামিন হোসেনের বাড়িতে আশাদুলসহ পাঁচ থেকে ছয়জন ডাকাতি করতে যায়। সে সময় বাড়ির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি টের পেয়ে ডাকাতদের আটকের চেষ্টা করে।
এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আশাদুলকে আটক করে মারধর করা হয় এবং তার হাত-পা বেঁধে দুই পায়ের রগ কেটে দেয়া হয় বলে জানা যায়। এসময় পরিবারের সদস্যদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে আসে।
গুরুত্বর আহত অবস্থায় আশাদুলকে উদ্ধার করে প্রথমে বদলগাছী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য নওগাঁ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ভাঙারি ব্যবসায়ী আলামিন হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন:
নিহতের মা আয়েশা বলেন, ‘সন্ধ্যার সময় ছেলে আশাদুল আমার কাছে ফোন দিয়ে তার বাচ্চার খোঁজখবর নিয়েছিল। তারপর আর কথা হয়নি। ভোরে শুনছি ছেলে মারা গেছে। তবে ছেলে হাঁস-মুরগি চুরি করতো। ডাকাতির মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। নওগাঁ শহরে অটোরিকশা চালাতো। তবে ছেলের এমন মৃত্যু হবে আশা করিনি। যদি অন্যায় করে থাকে তাকে পুলিশ দিতো। এভাবে হত্যা কেন করবে।’
তদন্ত পূর্বক দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান তিনি। বদলাগাছী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহত আশাদুলের নামে এর আগে ডাকাতি মামলা রয়েছে।’ মরদেহ উদ্ধার করে আইনানুগ প্রক্রিয়া গ্রহণে প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।





