শহীদুল ইসলাম সিকদারের বাড়ি একই ইউনিয়নের দুলুখন্ড গ্রামে। একই ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মৃত লতিফ সিকদারের ছেলে তিনি।
শরীয়তপুরের নড়িয়া থানা সূত্র জানায়, গতকাল (শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে পাশের নরকলিকাতা গ্রামের একটি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এলাকায় চোর প্রবেশ করেছে এমন চিৎকার চেচামেছি করেন গ্রামের বাসিন্দারা। তখন শহীদুল দৌড়ে আত্মরক্ষার জন্য পাশের একটি পুকুরে মেনে পরেন। সেখানে কয়েক ঘণ্টা অবস্থান করার পর স্থানীয়রা তাকে ভোর ৫টার দিকে আটক করে। পরে তাকে মারধর করা হয়।
ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে গ্রামের রাস্তার পাশের একটি গাছের সঙ্গে কোমরে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখেন। খবর পেয়ে সকাল ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা আসেন। তখনও ওই যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়।
ভেজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদুলকে একটি বাড়ির পাশে রাতে ঘুরতে দেখে চোর বলে সন্দেহ হয় গ্রামবাসীর। তখন সকলে চিৎকার-চেঁচামেচি করলে সে পুকুরে নেমে আত্মগোপন করেন। পরে ভোরের দিকে পুকুর হতে উঠে আসলে জনতা তাকে আটকে রাখে। আমরা খবর পেয়ে পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাই। এলাকায় কোনো বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেনি। তবে ওই ব্যক্তি এখানে কেন এসেছিল তা বলতে পরছি না।’
আরও পড়ুন:
আটক যুবক শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো বাড়ি যাচ্ছিলাম। রাত একটু বেশি হয়েছিল। বেশি রাত হওয়ায় মানুষ আমাকে চোর ভেবে চিৎকার করেন। তখন একটি পুকুরের কচুরিপানার নীচে পালাই। সেখানে ৪-৫ ঘণ্টা থাকার পর তীরে উঠে আসি। তখন গ্রামবাসী আমাকে মারধর করে। কোমরে দড়ি দিয়ে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।’
ভোজেশ্বর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ রবিউল হক বলেন, ‘শহিদুলকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা অবস্থায় দেখতে পাই। তার কোমরও হাত-পা বাধা অবস্থায় ছিল। গভীর রাতে গ্রামের রাস্তা দিয়ে ওই যুবক যাচ্ছিলেন। এমন সময় চোর সন্দেহে গ্রামবাসী তাকে তাড়া করেন। তখন তিনি পুকুরের মধ্যে আত্মগোপনে থাকেন। ভোর বেলা সেখান থেকে গ্রামবাসী তাকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখেন।’
তিনি বলেন, ‘তার বাবা-মা নেই। আত্মীয়- স্বজনরাও খবর খবর দেয়া হয়েছে কিন্তু তারা এখনও পর্যন্ত আসেনি। পরবর্তী সিদ্ধান্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নেবেন।’





