চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জের বাসিন্দা ফারজাত হোসেন সজীব। ৩৫ বছর বয়সী এ যুবক ডাকাতির প্রস্তুতির মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে ছিলেন। আজ (শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল) সকালে কারাগারের ভেতরেই তার মৃত্যু হয়। যা নিয়ে তৈরি হয়েছ ধোঁয়াশা।
সজীবরে স্ত্রীর দাবি শুক্রবার সকালে অপরিচিত একটি নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয় তার স্বামী অসুস্থ, হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পর অপর একটি নম্বর থেকে ফোন করে বলা হয় সজীব অন্য কয়েদির সাথে মারামারি করে মারা গেছে, বিকাশে দ্রুত ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিলে তাকে আলাদা সেলে পাঠানো হবে।
এর কিছুক্ষণ পর ফোন দিয়ে বলা হয় সজীবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হাসপাতালে স্বজনরা এসে দেখে সে মৃত। তবে যে নম্বর দুটি থেকে ফোন দেয়া হয় সেই দুটি নম্বর এর পর পরই বন্ধ হয়ে যায়।
পরিবারের দাবি তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে সজীবকে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে জেলারের দাবি শুক্রবার সকালে হাজতে থাকা আসামি সজীব অসুস্থতাবোধ করলে প্রথমে তাকে কারাগারে ইসিজি করা হয়।
অস্বাভাবিক রিপোর্ট আসলে পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে নেয়া হয় সজীবকে। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হতে পারে ধারণা জেল কর্তৃপক্ষের। মারামারির বিষয়টি ভিত্তিহীন দাবি করেন তিনি।
তবে সজীবের মৃত্যু নিয়ে কে টাকা চেয়েছে তা রহস্যই থেকে গেছে। জেলারের দাবি, এটি প্রতারণার ফাঁদ। তবে ময়না তদন্ত শেষে জানা যাবে এ মৃত্যু হৃদরোগের নাকি পরিকল্পিত।