আজ (রোববার, ২০ এপ্রিল) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল ট্রাইব্যুনাল বেঞ্চ প্রসিকিউশনের সময় আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আজকের ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলার শুনানি হয়। প্রথম মামলাটি ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের। এ মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জন আসামি রয়েছেন, যারা এই অপরাধের নির্দেশদাতা ছিলেন। এই মামলার ১৭ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। আমরা আজ আদালতে এই মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছি এবং দুই মাসের সময় চেয়েছি। আদালত আমাদের দুই মাসের সময় দিয়েছেন।
হাতকড়া পরিয়ে আসামিদের আদালতে তোলার বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে পুলিশকে বাড়াবাড়ি না করার আদেশ দেন আদালত। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলেই শুধু অ্যাকশনে যাবে পুলিশ।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে গণহত্যার সম্পৃক্ততার বিষয়ে যে মামলাটি রয়েছে, সেটি নিয়ে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। আমরা আমাদের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হবে। তারপরও আমরা সত্যতার জন্য দুই মাসের সময় চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম। আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন।’
চিফ প্রসিকিউটর জানান, গেল ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৯ আসামিকে হাজির করা হয়। সেদিন শুনানির সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আসামিরা সরাসরি মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করতে গিয়ে কিছুটা সময় লাগছে। মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য আসামিরা এখনো পলাতক।