সেনাবাহিনী, পুলিশ, উপজেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান শেষে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর দাগনভূঞা অস্থায়ী ক্যাম্প কমান্ডার মেজর শাহরিয়ার রহমান জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর শনিবার সকাল থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণে ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে দাগনভূঞা উপজেলার বিভিন্ন মাদক স্পটে ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানের অংশ হিসেবে মাদক রয়েছে মর্মে দাগনভূঞা পৌরসভার ২ নাম্বার ওয়ার্ডের রেজাউল হকের ছেলে আশ্রাফুল হাসান জাবেদের ঘরে অভিযান পরিচালনা করি। মাদক খুঁজতে গিয়ে তার থাকার ঘরে দুই রাউন্ড বুলেট পাই আমরা।
বুলেট পাওয়ার পর অস্ত্র উদ্ধারে তাদের পুরো ঘর তল্লাশি করে তার ঘরের ছাদ থেকে একটি দেশিয় হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র, ধারালো ছুরি ও ককটেল তৈরির সরঞ্জাম পাওয়া যায়। এছাড়াও তার ঘর থেকে ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদি পাওয়া যায়।
অভিযান পরিচালনার পূর্বে সে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এ অভিযানে সেনাবাহিনীর সাথে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফেনী জোনের উপ-পরিচালক সোমেন মন্ডল, দাগনভূঞা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিদুল ইসলাম ও দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জাবেদের মা জানান, আমাদের ঘরে কি পাইছে না পাইছে কিছুই জানিনা। আমার ছেলেকে ফাঁসানোর জন্য এগুলো করা হচ্ছে। আর যে ছুরিগুলো ওরা নিছে সেগুলো কুরবানির গরুর চামড়া উঠানোর ছুরি।
দাগনভূঞা থানার ওসি লুৎফুর রহমান বলেন, ‘জাবেদের বাড়ি থেকে যে দেশিয় হাতে তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এ বিষয়ে থানায় অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হবে।’
এর আগে, দাগনভূঞা উপজেলার পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে আবুল খায়ের (৫৫) ও মাতুভূঞা ইউনিয়নে অভিযান পরিচালনা করে নুরুজ্জামান (৪৫) কে গ্রেপ্তার করে। নুরুজ্জামানকে ভ্রাম্যমান আদালত ২ মাসের কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।