গত ৬ মার্চ বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় শিশু আছিয়া। এরপর বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ১৩ মার্চ শিশুটির মৃত্যু হয় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। যে ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে ফুঁসে উঠে গোটা দেশ। দ্রুত বিচারের আশ্বাস দেয় রাষ্ট্র।
সরকারের পক্ষ থেকে ৭ দিনের মধ্যে বিচার কাজ শুরুর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৫ দিন অতিবাহিত হলেও শেষ হয়নি পুলিশি তদন্ত।। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, মামলার যাবতীয় প্রস্তুতি থাকলেও ডিএনএ রিপোর্ট না পাওয়ায় চার্জশিট আটকে আছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহেদ হাসান টগর বলেন, ‘ডিএনএর রিপোর্ট এখনো আসেনি। রিপোর্ট আসার পর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যেই এই মামলা শেষ করা যাবে এবং এই নরপিশাচদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হবে বলে আশা করছি।’
চার্জশিট জমা দিলে ১৫ দিনের মধ্যেই মামলার কর্যক্রম শুরু হবে বলে জানান সরকারি পাবলিক প্রসিকিউটর।
অ্যাডভোকেট মো: মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, ‘ আশা করি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে পুলিশ মামলার তদন্ত শেষ করে আদালতে রিপোর্ট প্রেরণ করবে। এরপর এই মামলাটি বিচারের জন্য নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে আসবে।’
এরই মধ্যে আসামি হিটু শেখ সহ চার আসামীর রিমান্ড শেষ হয়েছে। দুই একদিনের মধ্যেই মামলার চার্জশিট জমা দিতে পারবেন।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করছি, বেশকিছু তথ্য পেয়েছি, এগুলো আমরা যাচাইবাছাই করছি। আপনারা নিশ্চিত থাকেন যে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে, ডিএনএ রিপোর্ট ছাড়াই মামলার বিচার কাজ শুরু করার বিধান যুক্ত করে বৃহস্পতিবার সংশোধিত আইনের অনুমোদন দিতে যাচ্ছে সরকার।