এর আগে অবস্থার অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। প্রথমে ঢামেকের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়। শুক্রবার শিশুটিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়।
গত বুধবার রাতে জেলার শ্রীপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মূল অভিযুক্তসহ এখন পর্যন্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। সবশেষ তথ্যে জানা গেছে, শিশুটি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শিশুটির পরিবারের দাবি, ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর বড়বোনের শ্বশুর হিটু শেখ (৫০) জড়িত। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে হিটু শেখকে আটক করে।
এরপর শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোররাতে শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখকে (১৮) আটক করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. মিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘এরই মধ্যে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল এবং হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে।’
পুলিশ জানায়, ৮ বছর বয়সী ভুক্তভোগী শিশুটির বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। সে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে। রমজান ও ঈদের ছুটিতে স্কুল বন্ধ থাকায় কয়েক দিন আগে বড়বোনের বাড়ি মাগুরা শহরে বেড়াতে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে তাকে রক্তাক্ত অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।