আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫) বিকেলে শাহাপরীর দ্বীপ সংলগ্ন নাফ নদীতে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় আরাকান আর্মি তাদের হাতে জিম্মি ২৯ জেলে ও মাঝিমাল্লাকে বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি তাদেরকে ট্রলারে করে টেকনাফ জেটি ঘাটে নিয়ে আসে।
আরাকান আর্মির কাছ থেকে ফেরত ১৫ জন বাংলাদেশি নাগরিক হলেন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের মৃত তৈয়বের ছেলে মো. হাসান (৩০), মো. সলিমুল্লার ছেলে মোঃ জাবেদ (১৮), কবির আহমেদের ছেলে মো. আ. রহিম (১৭), মৃত আলমের ছেলে মো. হাসান (১৯), খুল্যা মিয়ার ছেলে মোঃ কালা মিয়া (৩৭), মোঃ সৈয়দ আলমের ছেলে মোঃ নুরুল আলম (৩৯), শামসুল আলমের ছেলে আব্দুর রহমান (১৯), সুলতান আহমেদের ছেলে মো. কালাম আহমেদ (২৯), ফয়জল করিমের ছেলে মো. লাইল্যা (১১), আব্দুল আমিনের ছেলে মো. কবির আহমেদ (৪৩), কবির আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইউনুছ (২৩), সোনামিয়ার ছেলে নুরুল ইসলাম (৩৪), রশিদ আহমেদের ছেলে মো. লুতফর রহমান (২৩), আব্দুল মান্নানের ছেলে রহিম উল্লাহ (২১) ও নূর মোহাম্মদের ছেলে মো. ফয়সাল।

এছাড়া ১৪ জন এফডিএমএন সদস্য হলেন ৮ নম্বর (ইস্ট) বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের নুর সালামের ছেলে ফারুক মাঝি, ২৫ নম্বর আলীখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের ইকরামের ছেলে কেফায়েত উল্লাহ, ৭ নম্বর কুতুপালং এফডিএমএন ক্যাম্পের নাজির হোসেনের ছেলে মোঃ ইব্রাহিম, ১৩ নম্বর বালুখালী এফডিএমএন ক্যাম্পের দলিজানের ছেলে আব্দুল মোনাফ, হোছন আলীর ছেলে তৈয়ব আলী, মো. সালামের ছেলে সৈয়দ উল্লাহ মাঝি, নূর মোহাম্মদের ছেলে সৈয়দ আলম, নূর মোহাম্মদের ছেলে ইমাম হোসেন, থান্ডা মিয়ার ছেলে মো. হোছন আহমেদ, হোছন আহমেদের ছেলে নেজামুদ্দিন (৩০), নুর মোহাম্মদের ছেলে আমান উল্লাহ (৩২), সোনামিয়ার ছেলে নুর হোছন, মৃত আব্দুস সালামের ছেলে কবির আহম্মদ এবং মৃত মকবুল আহম্মদের ছেলে হামিদ হোসেন।
ফেরত জেলেদেরকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ ও ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে টেকনাফের কেকে খাল, শাহ পরীর দ্বীপ ট্রলারঘাট ও খারাংখালী এলাকা জেলেরা ৬টি ইঞ্জি চালিত নৌকাযোগে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে নাফনদী ও বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরছিলেন। তারা মাছ ধরতে ধরতে একসময় ভুলবশতঃ বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখা অতিক্রম করে মায়ানমারের জলসীমায় প্রবেশ করে। এরপর মায়ানমার আরাকান আর্মির সদস্যরা অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে তাদেরকে নৌকাসহ আটক করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি থাকা জেলেদের পরিবার তাদেরকে ফিরিয়ে আনতে বিজিবির হস্তক্ষেপ কামনা করলে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) মায়ানমার আরাকান আর্মির সাথে কার্যকরী যোগাযোগ স্থাপন করে। দীর্ঘদিনের মধ্যস্থতায় আজ বিকেলে বিজিবির টেকনাফ ব্যাটালিয়ন আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি থাকা জেলেদেরকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।