মুহিতসহ তিন জনকে পুলিশ গত শুক্রবার ঢাকার সাভারের গেন্ডা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন শনিবার শহিদুলকে ৫ দিনের রিমান্ডে এনেছিল গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত অপর দু’জন মো. সবুজ ও শরিফুজ্জামান ওইদিনই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) এসআই মো. আহসানুজ্জামান জানান, প্রথম দফা ৫ দিনের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে শহিদুল ইসলাম মুহিদুল মুহিত ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। ডাকাত চক্রের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে।
আরো পড়ুন:
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রিমান্ডে আনা এই মামলার অপর আসামি আলমগীর শেখের সামনে মুখোমুখি করে শহিদুল ইসলাম মুহিতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ ও সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তাই দ্বিতীয় দফা রিমান্ড চাওয়া হয়।
এই ঘটনায় সোমবার আলমগীর শেখ ও রাজিব শেখ নামক দু’জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাদের গোয়েন্দা পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ডাকাতি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী যাত্রীবাহী একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতরা লুণ্ঠনের সময় নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানি করে। ঘটনার তিনদিন পর গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে মির্জাপুর থানায় ওমর আলী নামে এক যাত্রী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন।