আজ (মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া বারোটার দিকে বাড়িতে হইচই শুনতে পান প্রতিবেশীরা। দীর্ঘসময় চিৎকার চেঁচামেচিতে সন্দেহ জাগে স্থানীয়দের। নিরুপায় হয়ে সাহায্যের জন্য ৯৯৯ এ ফোন করেন স্থানীয়রা।
বাড়ির নিচেও জমে যায় ভিড়। পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করা হয় এক ব্যক্তিকে। পরে পুলিশ এসে বাড়িটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। যোগ দেয় র্যাব সদস্যরাও। অভিযানে আটক হন আরও এক ডাকাত।
অভিযানের এক পর্যায়ে যোগ দেয় সেনাবাহিনীও। খবর মেলে বাড়ির মালিক রাষ্ট্রীয় তেল শোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক লোকমান হাকিমকে বাথরুমে আটকে রেখেছে ডাকাতরা। জিম্মিদশা থেকে তাকে উদ্ধারে ছোড়া হয় সাউন্ড গ্রেনেড। পরে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বলেন, ‘ভিক্টিমকে জিম্মি করে রেখেছিল তখন ভিক্টিমকে উদ্ধার এবং ওকে গ্রেপ্তার করা জন্য আমরা সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে মেরেছি।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানায়, আটক আকাশ দীর্ঘদিন ধরে লোকমান হাকিমের বাসায় কেয়ারটেকার ছিল। পুলিশ বলছে, ডাকাতির পরিকল্পনার মাস্টারমাইন্ড এই লোকমান। তাঁর সহযোগী সাব্বির সহ পালিয়ে যাওয়া বাকি দুইজনও ছিল ভবনটির নিরাপত্তাকর্মী। এক বছর আগে তাদেরকে চাকরিচ্যুত করার ক্ষোভ থেকেই ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তারা।
সিএমপি পাঁচলাইশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সোলায়মান বলেন, ‘ আমরা একটা দরজা ভেঙ্গে বেডরুমে ঢুকি। সেখানে দেখি মোটামুটি রক্তপাত হয়েছে পরে এরা বাথরুমে ঢুকে যায়। এরা এখানে আগে কর্মচারী হিসেবে ছিল। এক বছর আগে এদের ছাঁটাই করা হয়েছে তারা এই জেদ থেকেই এই কাজটি করেছে বলে আমার মনে হচ্ছে।’
লোকমান হাকিম দেশের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ আবুল খায়ের গ্রুপের কর্ণধার আবুল খায়ের এর মেয়ের জামাই। তিনি বর্তমানে গুরুতর আহত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন।