নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোমেশ্বরী নদীর বালু তোলায় ৭ জনকে জেল-জরিমানা

এখন জনপদে
অপরাধ ও আদালত
0

নেত্রকোণার দুর্গাপুরে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৬ লড়ি গাড়ি চালকসহ মোট সাতজনকে জেল ও অর্থদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে একজনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

আজ (শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বিজয়পুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই নির্দেশনা দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ধোবাউড়া উপজেলার গামারীতলা এলাকার মমিন আহমেদ (২০), একই উপজেলার জারিপপাড়া এলাকার সোহাগ মিয়া (২২), জিগাতলা এলাকার মো. হাকিম (২২), লঙ্গলজোড়া এলাকার মো. শরিফুল ইসলাম (২২), গৌরিপুর এলাকার মো. এনামুল হক (২৬) ও কৃষ্ণাপুর এলাকার আলমগীর হোসেন (২৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সোমেশ্বরী নদী থেকে দীর্ঘদিন ধরে দিনে রাতে বালু চুরির মহোৎসব চলছিল। শুক্রবার দুপুরে সোমেশ্বরী নদীর বিজয়পুর এলাকা থেকে বালু চুরির খবরে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর।

এই সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে লড়ি চালক মমিন আহমেদকে ৩ দিন, সোহাগ মিয়া ও হাকিম মিয়াকে ৭ দিন, শরিফুল ইসলামকে ২০ দিন, এমদাদুল হক ও আলমগীর হোসেনকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। এছাড়াও মানিক মিয়া নামের এক জনকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাভিদ রেজওয়ানুল কবীর জানান, সোমেশ্বরী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে এরকম তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৭ জনকে আটক করা হয়। পরে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় ও ১জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ইএ