অপরাধ ও আদালত
0

শেখ হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য প্রচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেও বক্তব্য সরাতে নির্দেশ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। পাঁচ আগস্টের পর শেখ হাসিনার যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য আছে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলতেও বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার রক্ষার স্বার্থে এই নিষেধাজ্ঞা দরকার বলে মনে করেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।

জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতা ও রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পরপরই একের পর এক অভিযোগে মামলা দায়ের শুরু হয়। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি মামলা করে জুলাই আগস্টের আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবার। শেখ হাসিনাসহ তার সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচারের জন্য পুনর্গঠন করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

এসব মামলার প্রেক্ষিতে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় ও পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করতে না পারার কারণ ইতিমধ্যে ট্রাইব্যুনালকে জানানো হয়েছে। সহায়তা চাওয়া হয়েছে ইন্টারপোলের। একইসঙ্গে মামলার অভিযোগের তদন্ত চলমান।

এসব পরিস্থিতি পলাতক শেখ হাসিনা তার দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ফোনালাপ করছেন। তিনি ফোনালাপে যেসব কথা বলছেন তা বিদ্বেষমূলক ও বিচারের জন্য বাধা বলে মনে করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।

আজ (বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, আসামি হিসেবে পলাতক শেখ হাসিনার কোনো বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করা যাবে না। নিষেধাজ্ঞা থাকবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও।

শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে কেনো নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হলো এমন প্রশ্নের জবাবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম বলেন, 'মামলার সাক্ষীদের নিরাপত্তা, ভয় কাটানো ও ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের স্বার্থে শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দরকার।'

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার বক্তব্য প্রচার না করতে ফেসবুকসহ সব মাধ্যমকে চিঠি দেবে ট্রাইব্যুনাল।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অভিযোগ তদন্ত করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। চলতি মাসেই অগ্রগতি প্রতিবেদন দেয়ার কথা রয়েছে।

ইএ