আইনজীবী সাইফুল হত্যাকাণ্ডের চারদিন পর শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনকে আসামি করে নগরীর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ১৫ জনকে। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৬ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরকে কেন্দ্র করে আসামির পক্ষের ইসকনপন্থী আইনজীবীরা ক্ষুব্ধ হয়ে আদালতকে উদ্দেশ্য করে অশালীন ভাষায় আজেবাজে মন্তব্য করেন এবং আদালতে হট্টগোল করেন। তখন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারী এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামিরা প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান করে দায়িত্বরত পুলিশের কাজে বাধা দেন।
এজাহারে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের ইন্ধনে আসামীরা সাইফুল আসলামকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেন বাদী। চন্দন দাশ মামলার এক নম্বর আসামি।
এছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে আইনজীবীদের ওপর হামলা, ভাংচুরের অভিযোগে ১১৬ জনের বিরুদ্ধে সাইফুল ইসলামের ভাই আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন ।
ঘটনার ভিডিও ও স্থিরচিত্র দেখে আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করে থানায় গিয়ে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে উল্লেখ করা হয় এজাহারে।
এর আগে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা দায়ের করেন। যেখানে ৭৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় এক হাজার ৪০০ জনকে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি মামলা হয়েছে যেখানে ৩৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যাদের নয় জন সরাসরি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত দাবি পুলিশের।
সিএমপি উপ পুলিশ কমিশনার মো. রইছ উদ্দিন বলেন, 'পরিবারের পক্ষ থেকে যে এজাহার দায়ের করা হয়েছে সেখানে এই চিন্ময়ের নাম নেই। তারপরও আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি। যারা এই ধরনের ঘটনার সাথে জড়িত, তারা যেন প্রকৃতভাবে চিহ্নিত হয়, সংশ্লিষ্টতা যতটুকু সেটা যেন সন্নিবেশিত হয় তার প্রতিটি বিষয়কে আমরা যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। যেন ন্যায় বিচারের প্রক্রিয়ায় আমাদের যতটুকু কর্তব্য রয়েছে সেটা আমরা উপস্থাপন করতে পারি।'
প্রতিটি মামলা গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে দাবি পুলিশের। তবে যাকে ঘিরে এই হত্যাকাণ্ড সেই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে নিহত পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলায় আসামি করা হয়নি।