জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ড ও নৃশংসতাসহ আওয়ামী শাসনামলে মানবতাবিরোধী নানা অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭০ জনের বিরুদ্ধে গত ২৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা হয়। আইসিসির রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ অনুচ্ছেদের অধীনে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়।
আন্দোলনে সংঘটিত ঘটনাগুলোর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের জমা দেন ব্রিটিশ বাংলাদেশি আইনজীবী ব্যারিস্টার এম এ আরেফিন আশরাফ, যেখানে তুলে ধরা হয় হত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিভিন্ন ঘটনা।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দ্রুতই ওয়ারেন্ট ইস্যু হবে বলে আশা ব্রিটেনের এই আইনজীবীর। তিনি জানান, মামলার পরিপ্রেক্ষিতে খুব শিগগিরিই তদন্ত কার্যক্রম শুরু করবে আইসিসি।
ব্যারিস্টার এম এ আরেফিন আশরাফ বলেন, 'ইনভেস্টিগেশন শেষ হওয়ার পর তারা অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু করবেন। আমরা ইনশাআল্লাহ আশাবাদী। কারণ আমরা যে পরিমাণ প্রমাণ সাবমিট করেছি তা অনেক।'
আইসিসির রোম সংবিধির আওতায় না থাকায় শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে বাধ্য না ভারত। তবে বহির্বিশ্বের কারণে দিল্লি চাপে থাকবে মনে করেন মামলার বাদী।
ব্যারিস্টার এম এ আরেফিন আশরাফ বলেন, 'যদি আন্তর্জাতিক অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট ইস্যু হয় তাহলে ভারত বাধ্য না থাকলেও তাদের ওপর আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রেসার পড়বে। তারা এখন বাংলাদেশের সাথে যে স্ট্রং পজিশনে আছে, গ্লোবাল কমিউনিটির সাথে তারা সেরকম স্ট্রং কানেকশন থাকবে না। সুতরাং হাসিনার জন্য তারা তাদের গ্লোবাল ইন্টারেস্ট নষ্ট করবে বলে মনে করি না। এবং তারা হাসিনাকে হেগে হ্যান্ডওভার করবে।'
আইসিসিতে মামলার অভিযোগ গঠন হলে ভুক্তভোগী পরিবার ন্যায় বিচার পাবে বলে আশা বাদীপক্ষের। শিক্ষার্থী-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।