গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আগামী ১৮ নভেম্বর ১৪ জনকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাকি ৬ জনকে ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় গ্রেপ্তারকৃতদের ট্রাইব্যুনালে হাজির চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানায় প্রসিকিউশন টিম। শুনানি শেষে আদালত এরইমধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেন।
প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আজ ট্রাইব্যুনালে তিনটি আবেদনপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি ছিল আগে যাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল এবং এর বাইরেও যারা এই মামলার অভিযুক্ত, এরকম বেশ কয়েকজন ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের শোন অ্যারেস্ট দেখানোর জন্য দুটি আবেদন করেছি আলাদাভাবে। সেই আবেদনে মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তারি দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন এবং তাদের এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একটি আবেদনে ১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।’
এই ১৪ জন হলেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ড. দিপু মনি, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেহ পলক, সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক ইলাহী চৌধুরী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, সাবেক নৌমন্ত্রী শাহজাহান খান, সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর আলম। তাদেরকে আগামী ১৮ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।
এছাড়া দ্বিতীয় আবেদনে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়েছিল। তারা হলেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান, বরখাস্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, পুলিশ কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, আবুল হাসান ও মাজহারুল ইসলাম। বর্তমানে তারা বিভিন্ন মামলার গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে আছেন। আগামী ২০ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান চিফ প্রসিকিউটর।
এর আগে গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।