আজ (বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালতে নিহতের বোন মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত এই মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলেছেন।
বাদীর আইনজীবী জানান, ঘটনার ভিডিওতে সবার চেহারা পরিষ্কার দেখা গেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মামলায় কাউকে নির্দিষ্ট করে কাউকে আসামি করা হয়নি। আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতদের। তাই নতুন করে আসামিদের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।
হত্যার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কোনোভাবে দায় এড়াতে পারে না বলেও জানান আইনজীবী। এসময় নিহতের বোন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটিয়ে মেরে ফেলা মানা যায় না। ঘটনায় দায়ীদের বিচার নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার সময় একজন যুবক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলের গেটে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্র তাকে আটক করে প্রথমে ফজলুল হক মুসলিম হলের মূল ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে যান।
মোবাইল চুরির অভিযোগ করে তারা ওই যুবককে এলোপাতাড়ি চর-থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মারেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই যুবক তার নাম তোফাজ্জল বলে জানান। পরে তিনি মানসিক রোগী বুঝতে পেরে তাকে হলের ক্যান্টিনে নিয়ে খাবার খাওয়ান। এরপর তাকে হলের দক্ষিণ ভবনের গেস্ট রুমে নিয়ে জানালার সঙ্গে হাত বেঁধে স্ট্যাম্প, হকিস্টিক ও লাঠি দিয়ে উচ্ছৃঙ্খল কিছু ছাত্র বেধড়ক মারধর করলে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন।
তোফাজ্জলের বাড়ি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাঁঠালতলী ইউনিয়নে। পরদিন দুপুরে শাহবাগ থানায মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট অফিসের সুপারভাইজার মোহাম্মদ আমানুল্লাহ। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা দায়েরের পর ৬ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। বর্তমানে কারাগারে রয়েছে। এরা হলেন-জালাল মিয়া, সুমন মিয়া, মো. মোত্তাকিন সাকিন, আল হোসেন সাজ্জাদ, আহসান উল্লাহ ও ওয়াজিবুল আলম।